নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালের ভাগদীতে ২দিন ব্যাপি কুঞ্জমেলা শুরু হয়েছে। ২০২৪ জানুয়ারী ২৯ থেকে মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই মেলা। হিন্দু ধর্মীয় নন্দোৎসব হরেনাম কীর্তনকে উপলক্ষ করে এই মেলা এই উৎসব। ১৫ দিন ব্যাপি রাধা কৃষ্ণ এর নামে কীর্ত্তন উপাসনা শেষে, বাংলা সনের মাঘে কোন এক তারিখে এ কুঞ্জমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এবার শুরু হয়েছে ১৪৩০ বাংলা ১৫ মাঘ।
এইদিন হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীগণের বহু পুরানো রাধা কৃষ্ণের নামজজ্ঞ শুরু হয়। মানব শান্তি কল্যাণের আরাধনায় নানা বয়সের হরিভক্তগণ তাদের মানত্ ও প্রসাদ বিতরণ করে মনের আরতি দান করে থাকেন। এদিন ভক্তগন শিবঠাকুর ও কালী দেবতার প্রতিও তাদের ভক্তিপূর্ণ পুঁজো নিবেদন করে থাকেন।
সরজমিনে ২৯ জানুয়ারী ২৪ সোমবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, বহুসংখ্যক দোকানী মেলায় বেঁচাবিক্রির জন্য নানা রঙের পণ্য সাজিয়ে তারা বসেছে। বেলা গড়িয়ে বিকাল হলেই অন্যদিনের মতো মেলা দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে উঠবে।
তখন শুরু হবে দোকানীদের বিক্রির ধুম। ছোটদের খেলনা, মেয়েদের চুড়ি, কিশোর ছেলেদের জন্য হরেক রকমের প্লাস্টিক গাড়ি, বাঁশি, বড়দের জন্য রান্নাবান্নার তৈজসপত্রের দোকান সারিসারি দোকান সাজিয়ে বসেছে। তাছাড়া কাঠের ফার্নিচার এবং মাছের মেলাও এখানে বড় আকর্ষণ হয়ে জমে।
মেলায় ফোটকা বেলুন বিক্রেতা রহিম মিয়ার সাথে কথা হলে, সে আমাকে জানান অনান্য বছরের মতো এবারো সে এই মেলাতে ২/৩ দিন হয় আছে। এবার অন্য বছরের চেয়ে বিক্রি কম। ঠিক মুড়লি বেপারী মিনহাজ জানায় এবার বেচাবিক্রি কম। নিমাই ঘোষ শুধু বলেছে তার সব মিষ্টিই প্রতিদিন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তবে সকল দোকানিই এবার খুশী আবহাওয়া ভালো থাকার কারনে। মেঘ বৃষ্টি নেই। তাদের মেলায় অবস্থানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেনা।
এই মেলা আবার আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হিন্দু-মুসলমানদের কাছে একটি বাৎসরিক মিলনমেলা। এসময় সবার বাড়িতে বিশেষ করে মেয়ে ও জামাই আগমন ঘটে। দূরদুরান্ত থেকে নিমন্ত্রিত অতিথিদের ভিরে বাড়ি সরগরম হয়ে উঠে।
এসময় সবার বাড়িতে বিশেষ মাছ মাংসসহ উন্নত খাবার আয়োজন থাকে। নাড়ু মুড়ি মুরকি তো আছেই। সব মিলে ত্র অঞ্চলের মানুষ এই কুঞ্জমেলা ঘিরে সপ্তাহদিন ধরে সব বয়সের মানুষজন এক অন্যরকম অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠেন। যেন তারা এই মেলার জন্য দীর্ঘ সময় অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকে।
মেলা ঘুড়তে এসে ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল্ মুজাহিদ তুষার তাঁর শিশু ছেলের জন্য একটি খেলনা গাড়ি কিনতে যেয়ে বলেন এযে শৈশবের পরম আনন্দের দিন ছিলো। আজো স্মৃতির পাতায় মধুমাখা হয়ে চিরঞ্জিব হয়ে আছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: