![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
বরিশাল প্রতিনিধি: উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নে ভান্ডারী কাঠীগ্রামের সেকান্দার মোল্লা। মরিচা পড়া ফুটো চালের নিচে জীর্ণ কুটিরে অসহায় ভাবে মানবেতর জীবনযাপন। তীব্র শীতে কিংবা প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি সব কিছুর নীরব স্বাক্ষী তিনি। বয়োবৃদ্ধ ৭৮ বছরের এই লোকটি বয়সের ভারে এখন অনেকটাই অসুস্থ। জীবনের শেষ বয়সে এসে তাকে প্রতিদিন দুশ্চিন্তায় কাটাতে হয়।
ঘরে থাকেনা খাবারের যোগান অনাহারে অর্ধাহারে কাটাতে হয়, অসুখ হলে চিকিৎসা করানোর মত সামর্থ্য নেই। এই বয়সে এসেও মেলেনি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা। বৃষ্টির সময় ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় পাশ্ববর্তী বাড়িতে।
ছোট্ট একটি ভাঙ্গা ঘরে স্ত্রী নিয়ে এই বৃদ্ধ দম্পতির বসবাস। ঘরের উপরের চালের বেশিরভাগ অংশ ফুটো হয়ে গেছে। যে অংশে কিছুটা ভালো আছে সে অংশে একটি চৌকি বসিয়ে কোন মতে রাত্রি যাপন করেন বৃদ্ধা দম্পতি। কাজ কর্ম কিছু করতে পারেননা বলে মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে কোনমতে জীবন যাপন করছেন। দরিদ্র সেকান্দার মোল্লা বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে জরাজীর্ণ ঘরে যুগ পার করেছি। মেঘ দেখলে বৃষ্টির ভয়! আমাদের সম্পদ বলতে রয়েছে এই ভিটেমাটি।
কয়েক বছর ধরে ঘরটি দিয়ে বর্ষার সময়ে পানিতে ভিজতাম। এমনও দিন গেছে রাতে বসে রইছি। এহন শীতে কষ্ট করি। ঘর সংস্কার করব সেই সক্ষমতাও নেই। প্রতিবেশীরা জানালেন, সেকান্দার মোল্লা ও তার স্ত্রী বর্তমানে চরম ভোগান্তির শিকার। তাদের কোনো ফসলি জমি নেই। কোনো দিন খায় আবার কোনো দিন না খেয়েও থাকে। এখন এই বৃদ্ধ অসহায় সেকান্দার মোল্লার বসতঘরটি মেরামতের জন্য জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের সহযোগিতার কোন বিকল্প নাই।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: