• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

মানবাধিকার লঙ্ঘনে ১৩ দেশে ৩৭ জনের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০২:২৯ পিএম
মানবাধিকার লঙ্ঘনে ১৩ দেশে ৩৭ জনের ওপর
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে কয়েক ডজন লোকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মানবাধিকার দিবসের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট ১৩টি দেশের ৩৭ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রয়টার্স

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গত এক বছরে বেশকিছু দেশের ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের মার্কিন সম্পদ জব্দ করেছে। আমেরিকানদের মধ্যে যারা ওই ১৫০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে নির্দিষ্ট লেনদেনে জড়িত, তারাও নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন অভিযানের জন্য লোক নিয়োগ করা দুই ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মিশনে প্রাণঘাতি লক্ষ্যবস্তু অন্তর্ভুক্ত ছিল।

মাজিদ দস্তজানি ফারাহানি ও মোহাম্মদ মাহদি খানপুর আরদেস্তানি নামের ওই দুই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় স্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনায় নজরদারি কার্যক্রমের জন্য লোক নিয়োগ করেন।

বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় তেহরানের বিশিষ্ট সামরিক কমান্ডার এবং মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান প্রভাবের স্থপতি সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল।

নতুন করে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

নিষেধাজ্ঞায় আছেন আফগান পুণ্য প্রচার ও অপকর্ম প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি হত্যা, অপহরণ, ছুরিকাঘাত ও মারধরের সঙ্গে জড়িত বলে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের অভিযোগ। এ বিষয়ে তালেবান প্রশাসনের মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে রয়টার্সকে সাড়া দেননি।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অবৈধ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চরম হস্তক্ষেপ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনার মৌলিক নিয়মকানুনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি চীন-মার্কিন সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। চীন দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে এবং তীব্র নিন্দা জানায়। চীনে উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিয়ে জোরপূর্বক শ্রম অনুশীলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কফকো সুগার হোল্ডিংসহ আরও তিনটি চীনা সংস্থা থেকে আমদানিও নিষিদ্ধ করেছে।

কিছু মার্কিন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অভিযোগ করেছেন, চীনে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো জিনজিয়াংয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রধান মা জিংরুইসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করতে ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাইক গ্যালাগার ও সিনেটর মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, ণ্ডশিনজিয়াংয়ের সিসিপির শীর্ষ কর্মকর্তা, যিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গণহত্যা বাস্তবায়ন করেন, তিনি কেন নিষেধাজ্ঞায় আসলো না, তা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে।

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ে চলমান গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চীনের মধ্যপর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কর্তৃপক্ষ উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। এই দুই কর্মকর্তা হলেন, জিনজিয়াংয়ের জননিরাপত্তা কর্মকর্তা গাও কি এবং জিনজিয়াং ওয়ার্ক কো-অর্ডিনেশন স্মল গ্রুপের উপ-অফিস পরিচালক হু লিয়ানহে।

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইসলামিক স্টেটের নেতা, হাইতির চারটি অপরাধী দলের প্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

উগান্ডা প্রিজন সার্ভিসের কমিশনার জেনারেলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উগান্ডা গত মে মাসে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর সমকামীবিরোধী আইন প্রণয়ন করে, যেখানে সুনির্দিষ্ট কিছু সমকামী কর্মকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়। লাইবেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, উগান্ডা ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের জনগণকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image