নিউজ ডেস্ক: ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১২জন থাইল্যান্ডের বন্দি ছিলেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। বাকি ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মি। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ১৩ ইসরায়েলি জিম্মির প্রথম দলকে ৪৯ দিন পর মুক্তি দিয়েছে হামাস। রাফিয়া থেকে ইসরায়েল তাদের গ্রহণ করবে এবং তারা নিতজানা ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করবে।
কাতারের মধ্যস্থতায় চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনের ৩৯ বন্দিকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করেছে।
থাইল্যান্ড শুক্রবার বলেছে, ইসরায়েলে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মধ্যে থেকে তাদের ১২ জন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, ১২ থাইকে গাজার বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তগুলোর মধ্যে বন্দি বিনিময়ের যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল তার মধ্যে থাইদের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি।
ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, একদল নারী ও শিশুদের রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির অধীনে মুক্তি পাওয়া প্রথম জিম্মি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে জিম্মিদের প্রথম দলকে রেড ক্রস ও একটি মিসরীয় নিরাপত্তা দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চার দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর হামাসের হাতে বন্দী প্রায় ২৪০ জিম্মির মধ্যে প্রথম মুক্তি পাওয়ার তালিকায় ১৩ জন নারী ও শিশুর দলটির অন্তর্ভুক্ত হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
রেড ক্রস ও একটি মিসরীয় নিরাপত্তা দলের সহায়তায় বিকাল ৪টায় তাদের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার নয় ঘণ্টা পরে সামরিক পাহারায় তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। বিনিময়ে, ইসরায়েল শুক্রবার তার জেল থেকে প্রথম ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, যাদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন কিশোর।
চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে মোট ৫০ জন জিম্মি এবং ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যদিও ইসরায়েল বলেছে যে হামাস প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ জন করে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখলে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো যেতে পারে। ফিলিস্তিনের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: