নিউজ ডেস্ক: ফিলিপাইন ও তাইওয়ানের পর এবার চীনে আঘাত হেনেছে টাইফুন ডকসুরি। টাইফুন ডকসুরির তাণ্ডবে চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে তীব্র ঝড় ও ভারী বৃষ্টি হয়েছে, ঝড়ো বাতাসের তাণ্ডবে গাছপালার পাশাপাশি বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে আগুন লেগে যায়। বিরূপ আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে কলকারখানা ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। চীনে আঘাত হানার আগে ডকসুরি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানেও তাণ্ডব চালায়। এর প্রভাবে দেশ দুটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৬ সালে প্রাণঘাতী টাইফুন মেরান্তির পর সবচেয়ে শক্তিশালী দ্বিতীয় টাইফুন শুক্রবার সাগর থেকে ফুজিয়ানে উঠে আসে। ডকসুরির কারণে ফুজিয়ানের স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে এবং উপকূলীয় তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে টাইফুন মেরান্তির তাণ্ডবে প্রদেশটিতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে ডকসুরির বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টা প্রতি ১৩৭ কিলোমিটার।
শিয়ামেনের বাসিন্দা চুয়াং জানান, সকালে পুরো শিয়ামেনের কেউ কাজে যায়নি। রাস্তায় কোনো গাড়ি নেই, কারখানা ও মার্কেটগুলো সব বন্ধ। এর আগে মেরান্তির তাণ্ডবের কারণে এবার সবাই আতঙ্কিত হয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ২০ লাখ বাসিন্দার শহর জিয়ানজিয়াংয়ে বৈদ্যুতিক তারগুলোতে স্পার্ক হচ্ছে ও সেগুলো থেকে আগুন ধরে যাচ্ছে। শানঝৌতে বড় গাছ উপড়ে রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে।
মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে চীনে আঘাত হানা দ্বিতীয় টাইফুন ডকসুরি। এটি ফুজিয়ানের পর উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে দেশটির আরো ১০টি প্রদেশে ভারী বৃষ্টির কারণ হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ধারণা প্রকাশ করা হয়। এটি ক্রমাগতভাবে উত্তরপশ্চিম দিক মুখে এগিয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে জানা গেছে।
এর আগে ডকসুরি ফিলিপাইন ও তাইওয়ানেও তাণ্ডব চালায়। বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে ঝড়ো বাতাসের মধ্যে একটি ফেরি উলটে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুসহ চলতি সপ্তাহে ডকসুরি ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চল অতিক্রম করার সময় প্রায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: