বরিশাল প্রতিনিধি : ফেরিওয়ালার কাধের বাঁশে বাধা পতাকা দেখলেই অন্তরে স্বাধীনতার চিত্র ভাসে প্রতিজন বাঙালীর অন্তরে। ডিসেম্বর মাস এলেই হৃদয়ের মাঝে কাপন দিয়ে ওঠে বিজয়ের হাতছানি। এই মাস মানেই বাঙালীর অন্তরে পূর্ব আকাশে বিজয়ের রক্তিম লাল সূর্যের হাসি।
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস মনে করিয়ে দেয় ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ শহীদদের রক্তে ভেজা নতুন অর্জিত স্বাধীন মানচিত্র এবং মা বোনদের অমূল্য ইজ্জতের বিনিময়ে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত স্বাধীন বাঙালী জাতি।প্রতি বছরের ন্যায় ডিসেম্বর মাসে বেড়ে যায় জাতীয় পতাকার ব্যাবহার।
ডিসেম্বর মাসে একদিকে আছে স্বাধীনতা লাভের আনন্দ অন্যদিকে আছে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা ভাই হারানো বোন হারানো শহীদের জন্য মায়াভরা অশ্রশিক্ত বেদনা।
আসছে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে সারা দেশের ন্যায় বাকেরগঞ্জ উপজেলায়ও বিক্রি হচ্ছে জাতীয় পতাকা। লাল সবুজের জাতীয় পতাকা মানে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি। উপজেলার প্রতিটি হাট- বাজার, ও বন্দর বেড়েছে জাতীয় পতাকা বিক্রির ফেরীওয়ালা দের বিচরন। ছোট,বড় নানান সাইজের পতাকা আছে তাদের কাছে। অনেকে তাদের বাসা, বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানে টানানোর জন্য কিনছেন এই লাল সবুজের বিজয় নিশান পতাকা। তাদের কাছে নির্ধারিত সাইজের পতাকার পাশাপাশি কাগজের তৈরি পতাকাও বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাকেরগঞ্জের বন্দরে কথা হয় জাতীয় পতাকা বিক্রেতা মোহাম্মদ আকনের সাথে। তিনি মাদারীপুরে শিবচর থানার দক্ষিণ চর কামারগান্ধী গ্রামের বাসিন্দা, শুধু জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে মাদারীপুর থেকে এসেছেন।
তার সাথে আলাপ কালে জানা যায় জীবিকার তাগিদেই তার এই পতাকা বিক্রি নয়, এর মাধ্যমে তিনি স্বাধীনতার স্বাধ পান। এবং হৃদয়েের মাঝে মুক্তি যুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ও দেশ প্রেমের ছোঁয়া পান। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস এলেই তিনি এভাবেই ফেরী করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। সাইজ ভেদে প্রতিটি পতাকা ৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। এছাড়াও তার কাছে কাগজের তৈরি ছোট পতাকা ৩০/৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: