
নিউজ ডেস্ক: ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইইউভুক্ত দেশের কূটনীতিকদের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। গাজীপুরের একটি অভিজাত রিসোর্টে সকাল ১০টায় এ সম্মেলন শুরু হয়ে চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। সংশ্নিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন, এ বৈঠক শুধু গত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও এ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য।
সূত্র জানায়, এ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মিশনের পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বাংলাদেশে ইইউ এবং ইইউভুক্ত দেশগুলোর মিশনের কার্যক্রম, বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ এবং ইইউভুক্ত দেশগুলোর দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনেও প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে নানা আলোচনা চলছে। ইইউ রাষ্ট্রদূত কয়েকদিন আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য প্রেসে অংশ নিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইইউর আগ্রহ আছে এবং নির্বাচন ঘিরে ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের ইউরোপীয় বন্ধু রাষ্ট্রগুলো আগামীতে বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায়। প্রকৃতপক্ষে এ সম্মেলনে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, তা জানা না গেলেও চলমান বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নির্বাচন প্রসঙ্গ আলোচনায় আসতেই পারে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউর নানা আলোচনায় এসেছে। এ বিষয়টিও আলোচিত হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এর আগেও ঢাকায় ইইউর এ ধরনের বার্ষিক সম্মেলন হয়েছে। কভিড-১৯ মহামরির কারণে গত দুই বছর ভার্চুয়ালি হয়েছে। তবে এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। সূত্র আরও জানায়, এ ধরনের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় বাইরে জানানো হয় না। তবে এ বৈঠকগুলোতে সাধারণভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক, দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় এবং এজেন্ডাভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার কী ধরনের কার্যক্রম চলছে, তা আলোচিত হয়। এই কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ গতিপথ কী হবে তাও আলোচনায় আসে।
সূত্র আরও জানায়, এ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউ ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশে ইইউ এবং ইইউভুক্ত দেশগুলোর মিশনের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কার থাকারও সুযোগ নেই।
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমপক্ষে একজন কর্মকর্তার এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা। তবে যোগ দিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: