• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

চরফ্যাসন উপজেলায় মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৭:৪৪ পিএম
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা
স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:  ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'র হুংকারে তটস্থ ভোলার দক্ষিণ উপকূলীয় দ্বীপাঞ্চলের চরফ্যাসন ও মনপুরার মানুষ। বঙ্গোপসাগরের মোহনা এবং মেঘনা ও তেঁতুলিয়া পাড়ের চরগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র পর্যাপ্ত না থাকায় এসব চরে বসবাসকারী লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'র থাবার মুখে অসহায় হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, চরফ্যাসন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ৭ লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। পূর্বদিকে বহমান মেঘনা, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা এ উপজেলা সব সময়ই ঝড়- জলোচ্ছ্বাসের থাবার মুখে। এত কিছুর পরেও এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। 

উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ, উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সমগ্র উপজেলায় প্রায় শ'খানেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। যেগুলো মূল-ভূখণ্ডে অবস্থিত। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে গড়ে দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। এ হিসেব অনুযায়ী ৭ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত উপজেলায় দেড় লাখ মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা আছে। ফলে জলোচ্ছ্বাসের মুখে ৫ লাখ মানুষ ও কৃষকের গবাদি পশুর নিরাপদ আশ্রয়ের কোন ব্যবস্থা নেই।

বৃহস্পতিবার সকালে ’মোকা’র থাবার মুখে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। শনিবার দুপুর থেকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাম আশ্রয়কেন্দ্র গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত দ্বীপ ইউনিয়ন ঢাল চরের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, অবস্থানগত কারণে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের থাবার মুখে ঢাল চর ও কুকরী মুকরী ইউনিয়নের সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ। ঢাল চরের মতো বাংলার বালি দ্বীপ খ্যাত বঙ্গোপসাগর মোহনার কুকরী মুকরী ইউনিয়ন এবং তেঁতুলিয়া নদী পাড়ের মুজিব নগর ইউনিয়নের বসবাসকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর অরক্ষিত মানুষকে মূল ভুখণ্ডে আনার জন্য পর্যাপ্ত নৌ যান রাখা হয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image