নিজস্ব প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচন। সকাল ৮টায় সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহন শুরু হয়। সকাল থেকেই সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের তথ্য ও ছবি সংগ্রহে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
সকাল ৯ টায় সাংবাদিকরা বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলাখিয়া পাবলিক কলেজ ভোট কেন্দ্রে ছবি, ভিডিও ও তথ্য সংগ্রহের সময় মেজিস্ট্রেট আসমাউল হোসনা কেন্দ্রের বুথে প্রবেশ করে দেখেন সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করছেন। এসময় তিনি এনটিভির ক্যামেরা পারসন শফিকসহ সকল সাংবাদিকে ভিডিও এবং ছবি তুলতে নিষেদ করেন। এনটিভি ও খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ বিষয়টি বিরোধিতা করলে তার উপর মেজিস্ট্রেট চড়াও হয়।
এবিষয়টি জানার জন্য কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকরা বাহিরে অবস্থান করে। মেজিস্ট্রেট আসমাউল হোসনা কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের কোন উত্তর না দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
এসময় উপস্থিত থাকা সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার ও প্রেসক্লাব জামালপুরের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাগর ফারাজী, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাইমুম সাব্বির শোভন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রতিনিধি মুখলেছুর রহমান লিখন, বাংলাদেশ টুডের সুকতান আলম, দৈনিক সবুজ বাংলার প্রতিনিধি সুমন মাহমুদ, ঢাকা টাইমসের প্রতিনিধি ইমরান মাহমুদসহ সকল সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে।
সাংবাদিকরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এটা কোন আইনে বলা আছে যে সাংবাদিকরা কেন্দ্রে বা বুথে ছবি বা ভিডিও করতে পারবে না। আর মেজিস্ট্রেট আমাদের সাথে কোন আলোচনা এবং প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চলে যাওয়াটা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর সামিল।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: