![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা শহরে দুইটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ও জরিমানার প্রতিবাদে উপজেলার সব দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন ওষুধের দোকানের মালিকেরা।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরের পর থেকে ধর্মঘট পালন করছেন তাঁরা। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে শহরের ফাহিম মেডিসিন কর্ণারকে পাঁচ হাজার ও গোল্ডেন ফার্মেসিকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। দুইটি ঔষুধের দোকানে জরিমানা করার প্রতিবাদে তাতক্ষনিক ভাবে দোকান পাট বন্ধ করে ঔষধ ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ডোমার শাখার আহবানে এই ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, অহেতুক তাঁদের হয়রানি করায় এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এদিকে ঔষধের দোকান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে রুগির স্বজনরা। ঔষধ কিনতে এসে না পেয়ে তাদের খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
আতিক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, বাড়ীতে বাবা-মা অসুস্থ্য। ঔষধ কিনতে এসে দেখি সব ঔষধের দোকান বন্ধ। এখন যদি রুগির কিছু হয় তাহলে দায় নিবে কে? লিখন নামে আরেকজন বলেন, ঔষধ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ী যেতে হচ্ছে। তসলিমা নামে এক নারী বলেন, প্রচন্ড রোদের মধ্যেও ঔষধ কিনতে বাজারে এসেছি। এসে দেখি সব ঔষধের দোকান বন্ধ। আমার রুগীর অবস্থা ভালো না। এখন ঔষধ না পেলে তার কোন ক্ষতি হলে এর দায় কে নিবে!
ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকানে জরিমানা করতেই পারে সেটা কোন সমস্যা না। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে আসা এক পুলিশ সদস্য ব্যবসায়ীর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। যেটা কখনোই কাম্য ছিল না।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি দুটি দোকানে সাত হাজার টাকা জরিমানার বিষয়টি নিস্চিত করে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে দুইটি দোকানে জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: