• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

পার্বত্য অঞ্চলকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে পরিণত করা হবে: বীর বাহাদুর


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২:১০ পিএম
পার্বত্য অঞ্চলকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে পরিণত করা হবে
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি

নিউজ ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলকে আধুনিক শিক্ষা নগরীতে পরিণত করা হবে এবং দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য অঞ্চল পর্যটন শিল্পের জন্য দেশের একটি অন্যতম ও আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হবে। তিনি বলেন, মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং দেশের জন্য অন্যতম সম্পদশালী এলাকায় রূপান্তরিত হবে।

১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর বেইলী রোড শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাসমূহ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প বা স্কিমসমূহের নভেম্বর-২০২৩ মাসের মাসিক উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বীর  বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের কোনো মধ্যস্থতা ছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে দুই যুগের অশান্ত সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়েছেন। কোনো বন্দুক দিয়ে নয়, মারামারি বা কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে নয়, সম্পূর্ণ সুন্দর ও আন্তরিক পরিবেশের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালের ০২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তি বা পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার কারণেই ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন টাস্ক ফোর্স,  পার্বত্য তিন জেলা পরিষদ গঠন করা হয়। সেই সুবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা পার্বত্য অঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করতে পেরেছি। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান তিন জেলার সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সুগম করেছি। মন্ত্রী বীল বাহাদুর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বান্দরবানের দুর্গম উপজেলা থানচিতে সেখানকার মানুষের টানে ছুটে গিয়েছেন। থানচির মানুষের সাথে একাত্ম হয়ে কথা বলেছেন, তাদের সুখ দুঃখ সম্পর্কে জেনেছেন। তিনি পার্বত্য জেলার সেখানকার দুর্গম এলাকার সমস্যাগুলি একে একে সমাধান করেছেন। যেখানে একসময় বান্দরবান জেলার সদর থেকে থানচিতে যেতে ২/৩দিন সময় লেগে যেতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে এখন তা তিন চার ঘন্টায় যাওয়া সম্ভব হয়েছে। সেখানে সুন্দর সুন্দর রাস্তা হয়েছে, হাসপাতাল হয়েছে, স্কুল-কলেজ হয়েছে, মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। দুর্গম এলাকার যেখানে জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব নয, সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখন সেখানে বিদ্যুৎবিহীন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেখানকার সাধারণমানুষ অনায়াসেই রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য সেখানকার মানুষ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। মন্ত্রী বলেন পার্বত্য নগরীকে সর্বোচ্চ আধুনিকভাবে গড়ে তোলার কাজে নিবেদিত রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি’র সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিয়ষক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব মোঃ হুজুর আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ জসীম উদ্দিন, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহাম্মদ মাসুম বিল্লাহসহ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উন্নয়ন সভায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭৫১ কোটি ৭১ লাখ টাকা জিওবি খাতে বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে এডিপি অনুযায়ী অবমুক্তি করা হয়েছে ২৪৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা যার মধ্যে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা যা মোট বরাদ্দের ১৬.০৭%।  যথাসময়ের মধ্যে শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image