• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ছয়দফাকে কবর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয় না: গণফোরাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ০১ জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১৪ পিএম
মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার
বক্তব্য রাখছেন গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু

নিউজ ডেস্ক:  গণফোরাম সভাপতি জননেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন- উৎপাদনহীন খাতে বরাদ্দের নামে মহা লুটপাট করছে কিন্তু বেকার-যুবকদের জন্য কোন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগই নেই। উন্নয়নের যে কল্পকাহিনী শোনাচ্ছেন এগুলো জনগণের উন্নয়ন নয় আপনাদের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার থেকে বহুদূর চলে গেছেন। ছয়দফাকে কবর দিয়েতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয় না। পাকিস্তান আমলে ভোট-ভাতের অধিকার নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি ৫০ বছর পরেও একইভাবে ভোটের অধিকার আদায়ে লড়াই করছি, বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি। তাহলে আপনারা কিভাবে? কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের কথা বলছেন? এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের মাধ্যমে কার্যকরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

দুর্নীতি, দুঃশাসন হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন  শুক্রবার সকাল ১০টায় ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি), বেজমেন্ট হলে গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জনাব হাবিবুর রহমান বুলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন- মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে বলে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকার। প্রতিনিয়ত সংবিধান পরিপন্থী কর্মকান্ড পরিচালনা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সামাজিক খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে কিন্তু এরা দুর্ণীতির মাধ্যমে আরও বৈষম্য সৃষ্টি করছে। পদ্মা সেতু তৈরিতে আপনাদের ভূমিকার প্রশংসা করছি কিন্তু পদ্মা সেতুর শ্বেতপত্র জনগণের নিকট প্রকাশ করতে হবে। এখানে পদ্মা সেতু তৈরিতে কি কি দুর্নীতি করেছেন সেই ব্যাপারে কিছুই না বললাম শ্বেতপত্র জনগণের সামনে প্রকাশিত হলে জনগণ আপনার দুর্নীতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে। গণফোরাম জনতার পক্ষে লড়াই করে জনতার সরকার গঠন করবে আপনারা প্রস্তুত থাকুন। এই সরকার জনগণের চোখে ধুলো দিচ্ছে একের পর এক ইস্যু তৈরি করে। এদের উন্নয়নের মহা উৎসবের প্রচারণার অন্যতম লক্ষ্য জনগণের চোখ থেকে দুর্নীতি আড়ালে করা। আমরা আইয়ুব-ইয়াহিয়াকেও দেখেছি উন্নয়নের ঢাকঢোল বাজাতে কিন্তু ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারেনি। জনগণ সংগ্রামের মাধ্যমে সকল বাঁধা অতিক্রম করে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়বেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন- পাকিস্তানীরা দেশকে মেধা শূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল সেভাবেই বর্তমানে দেশ যাতে মেধাবীদের কর্তৃক পরিচালিত না হয় সেজন্য হাসিনা সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। মানবিক মূল্যবোধ নষ্ট করতে আপনি সফল হয়েছেন তার প্রমাণ শিক্ষকদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্ছিত হচ্ছে নিজ ছাত্র ও অন্যান্য সন্ত্রাসী বাহিনীর নিকট আর এর অন্যতম কারণ রাষ্ট্রের বিচারহীনতা। ইতিহাস বিকৃতকারী সরকার হিসেবে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ইতিহাসে কলংকিত হয়ে থাকবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনকালে গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন- রাষ্ট্রের অরাজকতা ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত করছে। আমরা যখন কেউ মুমূর্ষু হই তখন আমাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয় ঠিক তেমনিভাবে একটা রাষ্ট্র যখন অর্থনৈতিক ভাবে মুমূর্ষু হয়ে পড়ে তখন সে আইএমএফ এর কাছে অর্থের সহায়তা দাবি করে।

গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের বলেন- সুঃশাসন পারে জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে তাই গণফোরাম সেই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এই রাতের ভোটের অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে ঐক্য গড়ে তুলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর।

আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মোঃ সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খলিলুর রহমান ঝান্টু, মতিউর রহমান খোকন, মোঃ ফারুক হোসেন, কামাল উদ্দিন সুমন, শেখ শহিদুল ইসলাম, অখিল কর্মকার, রিয়াদ হোসেন, নকিব আহমেদ, এশেক আলী আশিকসহ ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম।

গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলনে জনাব হাবিবুর রহমান বুলুকে সভাপতি ও জনাব মোঃ তাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষনা করা হয়।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image