নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থীর হলফনামার তথ্যসমূহ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ভোটারদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সম্পদের বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে।
আগামী ৯ই মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল দুজনেই স্বশিক্ষিত বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি যিনি স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। এই বিষয়টি সুশীল সমাজের কাছে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন সদ্য সাবেক মেয় ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইকরামুল হক টিটু ও ড. রেজাউল হক । পাঁচ প্রার্থীর কারো বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা। নগদ অর্থের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন ইকরামুল হক টিটু। তবে ব্যাংক ঋণে এগিয়ে এহতেশামুল আলমের। অন্য তিন প্রার্থীর কোনো ব্যাংকঋণ নেই। কৃষি খাতে কারোরই কোনো বিনিয়োগ নেই।
মেয়র প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, টেবিল ঘড়ি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ইকরামুল হক টিটু শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। নিজের পেশা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবসা।
হাতী প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু বিএ,এলএলবি পাশ করা বলে হলফ নামার তথ্য বলছে।
হলফনামার তথ্য বলছে, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।
হরিণ প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পাশাপাশি তিনি আইনজ্ঞও।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: