আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করেছেন, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা। দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। (সংবাদ সংস্থা ডন)।
তিনি পদত্যাগের ব্যাপারে বলেন, কারচুপি করার জন্য তার উপর 'চাপ' ছিল। এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু তারপর জনসাধারণের সামনে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, 'আমি সমস্ত অন্যায়ের দায় নিচ্ছি। শুধু আমি নই, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান বিচারপতিও এর সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত। যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে হেরে যাচ্ছিলেন, তাদের জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
কমিশনার লিয়াকত আরও বলেন, 'সমস্ত আমলাতন্ত্রের কাছে আমার অনুরোধ, এই সমস্ত রাজনীতিবিদদের সাথে অবিচার করবেন না।'
৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে আসছিল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দাবি করেছেন, জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অন্তত ৮৫টি আসনে জালিয়াতি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্য সেক্রেটারি রওফ হাসান বলেছেন, দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় ভোট জালিয়াতির’ কারণে দেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালকে মনে রাখা হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে রওফ বলেন, 'হিসাব অনুযায়ী ১৭৭টি আসন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে আমরা পেয়েছি মাত্র ৯২টি আসন। আমাদের থেকে ৮৫টি আসনই জালিয়াতি করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
রওফ দাবি করেন, জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের আসনগুলোতে ভোটের সংখ্যার মধ্যেও বিশাল পার্থক্য রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ভোট গণনা করে বিজয়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: