![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
সুমন দত্ত
ভারতের এই নির্বাচন সেই পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল। যেই সময় জোট করে সরকার গড়ত ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি। এতে নষ্ট হতো সরকারের স্থিতিশীলতা। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি একাই ২৪২ আসন পেয়ে এখনো বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিজেপির রাজনৈতিক জোট এনডিএ ২৯২ আসনে জয়ী। অন্য দিকে তাদের বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩২। যাদের নেতৃত্বে রয়েছে কংগ্রেস। যারা একা পেয়েছে ৯৯ আসন। সরকার গড়তে লোকসভায় ২৭২ আসন লাগে। সেই হিসেবে ভারতের কোনো রাজনৈতিক দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
সরকার যেই গড়ুক তাকে অন্য বিজয়ী রাজনৈতিক দলের সহায়তা লাগবে। সেক্ষেত্রে বিজেপিই সরকার গড়ার ক্ষমতা রাখছে। কারণ তাদের রাজনৈতিক জোট ২৯২ আসন জিতে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বিহারের নীতিশ কুমার ও অন্দ্র প্রদেশের চন্দ্র বাবু নাইডু বিজেপিকে সমর্থন দিবে। আর এদের সমর্থনেই মোদি তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই নির্বাচনে অবাক করা ফল হয়েছে অনেক। যেমন কেরালায় বিজেপি আসন পাবে এটা কেউ কল্পনাও করেনি। সেখানে দেখা গেছে বিজেপি খাতা খুলেছে। অন্যদিকে মধ্য প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লিতে কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি। এদিকে উত্তর প্রদেশে বিজেপি ৪০ অধিক আসনে পরাজয়। সেখানে আসন ফিরে পেয়েছে রাহুল গান্ধি। তার মায়ের রায়বারেলি আসন থেকে জয় পান।
দিল্লি ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির রাজত্ব।সেখানে কংগ্রেস জোট করে তাদের সঙ্গে। অথচ দিল্লির ৭ আসনের ৭টিতে জয় পায় বিজেপি। আবার পশ্চিমবঙ্গে ধরা হয়েছিল বিজেপি ভালো করবে। সেখানে দেখা গেল বিজেপি আগের চেয়ে খারাপ করেছে। ত্রিপুরা ২ টি লোকসভা আসনে ২টিতেই জেতে বিজেপি। পুরো ভারতে বিজেপি যেমন আসন আশা করেছিল তেমনটা করতে পারেনি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে কংগ্রেস প্রতিটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলোকে ছাড় দিয়েছে। আর এই ছাড়ের কারণে আঞ্চলিক দলগুলো এবার শক্তিশালী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তাতে কংগ্রেস নিজে এককভাবে শক্তিশালী হয়নি। আর এখানেই বিজেপির জয়। বিজেপি লড়াই করেছে তাদের সঙ্গে যারা একসময় বিভিন্ন রাজ্যে ত্রিমুখী রাজনৈতিক লড়াই করত। এবার সেটা হয়নি। বিজেপি একা লড়াই করেছে সব বিরোধী পক্ষের জোটের সঙ্গে। তারপরও বিরোধী পক্ষের জোট বিজেপিকে হারাতে পারেনি। এখানে বিজেপির শক্তি পরীক্ষিত হয়ে যায়।
লেখক: সাংবাদিক
ঢাকানিউজ২৪.কম / এসডি
আপনার মতামত লিখুন: