![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক : অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিবর্তনের জন্য সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি বলেছেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মালয়েশিয়ায় টানা ২২ বছর মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় ছিলেন বলেই দেশটি উন্নয়ন করতে পেরেছে। উন্নয়নশীল অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও তাই।
দুই দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান রিম বিজনেস ফোরাম (আইওআরবিএফ) লিডারশিপ সামিট ২০২২-এর শেষ দিনে সোমবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, ব্যবসা এমন একটি বিষয়, যা সব কিছুকে একত্র করে। ব্যবসা হলো এক্সচেঞ্জ, আর এক্সচেঞ্জ হলো গ্রোথ, আর গ্রোথ মানে বেড়ে ওঠা। বাংলাদেশ কলোনিয়াল রুলস থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখন আমাদের অনেক শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে। অনেক বছর পর ব্যবসা ও রাজনীতি একসঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের যেসব উন্নয়নশীল দেশে যাবেন, সেখানেই দেখবেন তারা কতটা সুশৃঙ্খল। তারা শৃঙ্খলা বজায় রেখেই রাজনীতি করতেন। আমরা যদি নিজেদেরই সম্মান না করি তাহলে বিভিন্ন দেশের মানুষও আমাদের সম্মান করবে না।
এম এ মান্নান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনেক ম্যাচিউর (পরিপক্ব) এবং অনেক বিশ্বাসযোগ্য। আমি নিজেও তাদের অনেক বিশ্বাস করি। ব্যবসা এমন একটি বিষয়, যা চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। ইইউতে গেলে দেখা যাবে, তারা কতটা স্বাধীনভাবে চলাচল করে।
আমরা অনেক ন্যারো (ছোট)। উত্তরাঞ্চলের দেশগুলো থেকে আমাদের ব্যবসা শেখা উচিত। তবে আমি নিশ্চিত এই ইনিশিয়েটিভ (আইওআরবিএফ) আমাদের অনেকদূর নিয়ে যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই যে ভারত মহাসাগরীয় উপকূলীয় এলাকার ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে যে কথা হচ্ছে- এটা বিশাল এলাকা। সেখানে শুধু আমরাই ব্যবসা করব- এমনটা হবে না। আমিও ব্যবসা করব অন্যরাও করবে। এ ধরনের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেলে আমাদের সম্ভাবনা আছে।
মান্নান বলেন, আমাদের ব্যবসায়ীদের অনেকেই যুবক ও তরুণ। আমাদের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সারা বিশ্বে পা বাড়িয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আমাদের ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে সব দেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এর জন্য ভিসা আর পাসপোর্টের যন্ত্রণা আরও কমাতে হবে। আরও বেশি আসা-যাওয়া ও যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব হবে। আমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
আইওআরবিএফ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘আইওআরএ ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। বর্তমানে যে প্রচলিত উপায় আছে তার পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ান স্টাডি থেকে কারেন্সি সোয়াপের ওপর একটি প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশের ফরেন রিজার্ভের ওপর যে চাপ পড়ছে, সেটাকে আমরা প্রশমিত করার চেষ্টা করব।
এটা নিয়ে একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার দিকে যাওয়া হচ্ছে। আশা করি, এখান থেকে ইন্দোনেশিয়ান যে স্টাডি আছে দক্ষিণ কোরিয়া, চায়না ও জাপানের সঙ্গে, সেখান থেকে মেসেজ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: