নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক, ঢাকা। পরে এই উপলক্ষে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পরে বিকাল ০২.৩০ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনজির আহমদ এমপি, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম।
ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান পিপিএম( বার), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে, ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সালের ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছি আমাদের প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার বলেন, 'আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব হয়েছে ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে'।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন, 'বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু অনিবার্য ভাবে পরষ্পর পরষ্পরের পরিপূরক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও একটি স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে'।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল ও উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিগণ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অফিস প্রধান, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্রী, শিক্ষকমণ্ডলী ও শিশু- কিশোররা ও তাদের অভিভাবকগণ।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: