• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

শাহজাহানপুরে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০:৩৫ এএম
শাহজাহানপুরে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৭
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

নিউজ ডেস্ক : শাহজাহানপুরের ঝিল মসজিদ এলাকার একটি বাসায় ১০ ঘন্টার ব্যবধানে দুই দফায় ‘গ্যাস বিস্ফোরণে’ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা ও সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধরা হলেন– বাড়ির কেয়ারটেকার ও নিচতলার বাসিন্দা মিন্টু হাওলাদার, তার মেয়ে মারিয়া ইশরাত, স্যানিটারি মিস্ত্রি মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, প্রতিবেশী আলী আকবর, বাচ্চু মিয়া ও সিরাজুল ইসলাম। তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসকরা জানান, মিন্টুর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।

শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন। এর পাশাপাশি পুলিশও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা স্যানিটারি মিস্ত্রি মনিরকে বাসায় ডেকে আনেন। তিনি বাসার বাথরুম পরীক্ষা করে জানান, পয়োবর্জ্যের লাইনে গ্যাস জমে আছে। এরপর সেই গ্যাস বের করে দেওয়ার জন্য তিনি পয়ঃনিষ্কাশন পাইপের একটি ঢাকনা খুললে দ্বিতীয় দফা বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় তিনি, মিন্টুর মেয়ে মারিয়া ও উপস্থিত প্রতিবেশীসহ অন্যরা দগ্ধ হন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ঝিল মসজিদের পাশে মোহনা টেইলার্সের গলিতে একটি পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকালে বাসার বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন বাসিন্দারা। তারা ধারণা করেন, গ্যাসের সংযোগ পাইপের কোথাও ছিদ্র হয়েছে। সম্ভাব্য স্থানটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চালান তারা। একপর্যায়ে সকাল ৮টার দিকে এক জায়গায় গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে লাইটার দিয়ে আগুন জ্বালান মিন্টু হাওলাদার। তখন সেখানে আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মিন্টু ও তার প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

আহত মিন্টু হাসপাতালে জানান, বাসার বাথরুম ও রান্নাঘরে মাঝেমধ্যেই গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যেত। তবে কোথা থেকে গ্যাস বের হয়, তা খুঁজে পাননি। আজ তা খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

মিন্টুর স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার জানান, সকালের ঘটনার পর সন্ধ্যায় গ্যাস লাইনের ছিদ্র মেরামতের জন্য স্যানিটারি মিস্ত্রি বাসায় যান। তখন সেখানে জমে থাকা গ্যাস ফের বিস্ফোরিত হয়।

ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তারা পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তারাই দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image