নিউজ ডেস্ক: শুল্ক না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কমলাপুর আইসিডি থেকে কন্টেইনারের মালামাল চুরির অভিযোগে ৯ আসামির বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে আছে রিভিশনে। ২০১৮ সালে চুরির ওই ঘটনার পর ৬ বছর হতে গেলেও এখনো মামলার সাক্ষ্যই শুরু হয়নি। মামলাটির বিচারকাজ ঢাকার ১৩নং অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশনে আটকে আছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জগঠন করেন আদালত। এ চার্জগঠনের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন। এজাহারে নাম না থেকে ও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও হয়রানি করার জন্য চার্জশিটে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এরপর থেকে মামলাটির বিচার কাজ রিভিশনে আটকে আছ। আদালতে মামলার রিভিশন শুনানির জন্য আগামী ২৮ মে দিন ধার্য রয়েছে।
আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী মোতিনুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আসামি মোয়াজ্জেমের নাম এজাহারে ছিল না। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চার্জশিটে নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে রিভিশন দাখিল করেছি।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, কাজী সাইফুল ইসলাম, ইয়াসিন মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মো. শরীফ, উচ্চমান বহি: সহকারী মোহাম্মদ আখতার ও জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মামুন হোসাইন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের পার্কিং এলাকায় আমদানিকারক মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজের ১ হাজার ৩৮ প্যাকেজ এসর্টেড গুডস পণ্যবাহী চার কন্টেইনারের মালামাল ১০টি কাভার্ড ভ্যানে করে শুক্ল পরিশোধ ও বন্দর চার্জ পরিশোধ না করে চুরি করে নিয়ে যায়। এ অভিযোগে কমলাপুরের আইসিডির নিরাপত্তা পরিদর্শক সৈয়দ হোসাইন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: