![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক: মার্চে সৌদি আরবের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি টানা দ্বিতীয় মাসের মতো বেড়েছে। ওই মাসে রফতানি নয় মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট অর্গানাইজেশন ডাটা ইনিশিয়েটিভ (জেওডিআই)। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ সৌদি আরব। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমলে সৌদি আরব উত্তোলন আরো লম্বা সময় ধরে কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
জেওডিআইয়ের দেয়া তথ্যমতে, ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরব দৈনিক ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছিল। মার্চে তা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ৬৪ লাখ ১৩ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে।
সৌদি আরব ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক ৮৯ লাখ ৭৩ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে। আগের মাসে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ৯০ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল। সে হিসেবে উত্তোলন কমেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল করে বেড়েছে। এর মধ্যে গ্যাসোলিনের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর ওই সময় ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসে।
এদিকে মার্চে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা আগের মাসের তুলনায় দৈনিক ১৩ লাখ ব্যারেল করে বেড়েছে। এ প্রবৃদ্ধিতে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা ছিল চীনের। যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর চাহিদা কিছুটা কম।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়াতে লম্বা সময় ধরেই কাজ করছে সৌদি আরবসহ ওপেকের সদস্যদেশগুলো। এর মূল কারণ জ্বালানির বৈশ্বিক বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ লক্ষ্যে ওপেক প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট পরিমাণে জ্বালানি তেল উত্তোলন কমাচ্ছে। জোটের সঙ্গে চুক্তির পাশাপাশি এককভাবেও উত্তোলন কমাচ্ছে সৌদি আরব।
জেওডিআইয়ের দেয়া তথ্য অনুসারে, মার্চে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক উত্তোলন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল করে কমেছে। উত্তোলন কমার পেছনে বড় অবদান রেখেছে ওপেক।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: