
নিউজ ডেস্ক: বগুড়ার মহাস্থানে হজরত শাহ্ সুলতান মাহমুদ বলখী (রহ.) মাজারের ৯টি সিন্দুকের (দানবাক্স) টাকা দুই দিন ধরে গণনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মাজার কমিটি।
রোববার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে সোমবার দিবাগত রাত পর্যন্ত চলে এই গণনা। দানবাক্স থেকে টাকা ছাড়াও বেশকিছু স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। মহাস্থান উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক মহাস্থান শাখার ১০ কর্মকর্তা এবং মাজারে কর্মরত ১০ জন কর্মচারী টাকা গণনার কাজে অংশ নেন।
গননা চলাকালে মহাস্থান মাজার কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, মাজার কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। সর্বশেষ মার্চ মাসে সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৭৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির দান করা স্বর্ণের নাকফুলসহ স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু বৈদশিক মুদ্রাও তখন পাওয়া যায়। বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মহাস্থানের মেলার দিন মাজার এলাকায় রাখা অস্থায়ী কয়েকটি দানবাক্সে একদিনে জমা পড়েছিল প্রায় তিন লাখ ৪২ হাজার ৯১২ টাকা।
মাজার কমিটির সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে রোববার প্রথম পর্যায়ে ছোট আকারের ছয়টি সিন্দুক খোলা হয়। সেখানে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬৭ টাকা। এরপর সোমবার খোলা হয় অপর বড় তিনটি সিন্দুক। দু’দিন ধরে ওই সব দানবাক্সের টাকা গণনার কাজ চলে।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: