
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কারওরান বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ কাঁচামালের আড়তের দোতলা ভবন সিলগালা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পিছু হটেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএনসিসির অঞ্চল ৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
তবে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে বাধ্য হয়ে মার্কেট ছাড়তে নতুন সময় দেন তিনি। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যবসার চাইতে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে পড়লে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটবে।’
তিনি সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় বাধা না দিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীদের। তবে ব্যবসায়ীরা তা মানতে নারাজ। তাদের বাধা ও মার্কেট সমিতির অনুরোধে পরে আগামী ২৫ মে মার্কেট সিলগালার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা মার্কেট ছাড়বেন না এবং কোনো ধরনের উচ্ছেদও মানবেন না বলে জানান। তারা জানান, যেখানেই পুনর্বাসন করা হোক না কেন, সেখানের কাগজ তাদের আগে বুঝিয়ে দিতে হবে। এর আগেই যদি উচ্ছেদ করা হয় তাহলে কে কোথায় যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। তারা নতুন করে ব্যবসা করার নিশ্চয়তা চান।
তবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ সমকালকে বলেন, যাত্রাবাড়ীতে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মার্কেট করেছে, যার ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ। এ ছাড়া কারওরান বাজারের অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে গাবতলী ও আমিনবাজারে জায়গা দিচ্ছে সরকার।
পুনর্বাসনের আগেই কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে– জানতে চাইলে মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ‘মার্কেটগুলো অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি যে ভূমিকম্প হয়েছে, তার উৎপত্তিস্থল যদি কারওরান বাজারে হতো, তাহলে তা ধ্বংস্তূপে পরিণত হতো। তাই আমরা চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব ব্যবসায়ীদের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে সরিয়ে নিতে। এ জন্য তাদের একাধিকবার নোটিশও দিয়েছি। সবশেষ গত মাসের (এপ্রিলে) শুরুতেও এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা এ জায়গা ছাড়তে চাচ্ছেন না।’
অভিযানের সময় উপস্থিত ডিএনসিসির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করায় ব্যবসায়ীদের সব চেনাপরিচয় এখানেই। তাই তারা এই জায়গা ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: