নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানিয়েছে, ‘সোমবার সকালে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংকক ত্যাগ করার কথা। সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন।’
প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়েছে, থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকালে ব্যাংককে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখার পর সেখানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়।
সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন শেখ হাসিনা, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
ছয়দিনের এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারণ এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নথিগুলোর মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়-সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে।
এর আগে ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতার প্রতি যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: