![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে 'হোমিও পেশাজীবী সমিতির (হোপেস) বাংলাদেশের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপত মন্ডলী সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।
এসময় অনুষ্ঠানে সকল সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক পূর্ণাঙ্গ হোমিও চিকিৎসা ইউনিট চালু করা সহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব ডা. মোঃ আবু তালেব মোল্লা।
দাবি সমূহ নিম্ন দেওয়া হল -
১) অবিলম্বে যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল গঠন করে রেজিঃ প্রাপ্ত ডা. দের অটো-রেজিট্রেশন প্রদানকরে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
২) সকল সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক এ পূর্ণাঙ্গ হোমিও চিকিৎসা ইউনিট চালু করা:-হাসপাতাল এ- মেডিকেল অফিসার-বি এইচ এম এস -নবম গ্রেড, সহঃমেডিকেল অফিসার-ডি এইচ এম এস-দশম গ্রেড, হোমিও সহকারী-ডিএইচএমএস-২য়বর্ষ উত্তীর্ন ১৪ গ্রেড, অফিস সহায়ক -এসএসসি-১৭ তম গ্রেড ভুক্ত। কমিউনিটি ক্লিনিক এ সহ: মেডিকেল অফিসার ও হোমিও সহকারী নিয়োগ করা এবং মেডিকেল অফিসার দের প্রমোশন কল্পে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার পদের সৃষ্টি করা।
৩) দ্বিতীয় পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় গৃহীত হোমিও সরকারি প্রকল্প ঢাকায়-১০০ বেডের হাসপাতালসম্বলিত সরকারী হোমিও মেডিকেল ডিগ্রি কলেজ (আংশিক বাস্তবায়িত)ও রিসার্চ সেন্টার, তিন বিভাগে প্রতিটিতে ডিপ্লোমা কলেজ হাসপাতাল (ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা) এর পূর্নাংগ বাস্তবায়ন সহ প্রতিটি বিভাগে (ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি কোর্সভুক্ত) ১টি মেডিকেল কলেজ সরকারিকরন।
৪) অনুমোদিত হোমিও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন স্কেল-১৫ অনুযায়ী শতভাগ বেতনভাতার ব্যবস্থা করা সহ হাসপাতালসমুহ সরকারি বরাদ্দে পরিচালনার ব্যবস্থা করা।
৫) ঢাবি ও বুয়েটের মেডিকেল সেন্টার এর হোমিও চিকিৎসা ইউনিটের ন্যায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে হোমিও ইউনিট চালু করা।
৬) সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে হোমিওচিকিৎসা ইউনিট চালু (ঢাকা, চট্টগ্রামে সিটি কর্পেরেশন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে আংশিক চালু আছে) সহ সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে হোমিও চিকিৎসা ইউনিট চালু করা।
৭) অবিলম্বে হোমিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ডিপ্লোমা (দুই বছর শিক্ষা এক বছর ইন্টার্ন) ডা.দের বিএইচএমএস এবং বি এইচ এম এস ডা. দের উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ তৈরী করা।
৮) স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দের ১/৫ অংশ হোমিও চিকিৎসা শিক্ষার জন্য ব্যয় করা।
৯) হোমিও ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স প্রক্রিয়া সহজলোভ্য, হয়রানিমুক্ত এবং ডা.দের প্রাকটিস চেম্বার ড্রাগ লাইসেন্সের আওতামুক্ত করা।
১০) হোমিও ঔষধ ও কাচামাল আমদানি শুল্কমুক্ত সহ ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাব: আধুনিকীকরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা।
১১) সরকারি হোমিও ভেষজ বাগান প্রতিষ্ঠা করাসহ ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাব স্থাপন কর।
১২) মহামান্য হাইকোর্টের সুপারিশের আলোকে ভারতের আউশ এর আদলে হোমিওপ্যাথিক পৃথক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা করা।
এছাড়াও সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. আমানুল্লাহ জিকুসহ হোপেস বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটি ও অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: