• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১২ এএম
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ
jatio songsod bhobon

নিউজ ডেস্ক:  বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে গত ৫ বছরে অন্তত ২৩ ধরণের আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হয়েছে। ফোর্সেস গোল-২০২৩ এর আলোকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এসব যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনা বা সংযোজন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

এসব সরঞ্জাম ১২টি দেশ থেকে আনা হয়েছে। এর বাইরে বাংলাদেশে তৈরি দুই ধরনের সরঞ্জামও রয়েছে। তবে কোন সরঞ্জাম কতটি কেনা হয়েছে এবং কত ব্যয় হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে ১১ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। চীনের লাইট ট্যাঙ্ক ও সারফেস টু এয়ার মিসাইল (এসএএম) সিস্টেম, তুরস্কের বিভিন্ন ধরনের আর্মাড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), তুরস্কের মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), সিঙ্গাপুরের অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এজিএল), সার্বিয়া ও তুরস্কের রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ওয়েপন সিস্টেম, স্পেনের ফিক্সড উইং মিডিয়াম ইউটিলিটি এয়ারক্র্যাফট, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি-অটোমেটিক গ্রেনেড লাঞ্চার (এসএজিএল), তুরস্কের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল (ইউএভি), চীন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাটারি রাডার কনট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান (আরসিজি) সিস্টেম, জার্মানির আর্মাড রিকভারি ভেহিক্যাল (এআরভি) ফর ট্যাঙ্ক।

নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে ৮ ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জাম। চীনের তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), ফ্রিগেট, বিভিন্ন ধরণের মিসাইল ও সরঞ্জামাদি এবং নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ডের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি,  ইতালির ইউটিলিটি হেলিকপ্টার ও কানাডার ভি–স্যাট (ভিএসএটি) নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি পেট্রোল ক্র্যাফট (পিসি), ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ট্যাঙ্ক (এলসিটি)। এছাড়া চীনের ব্যবস্থাপনায় সাবমেরিন বেস বিএনএস শেখ হাসিনা নির্মাণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে ৪ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। যুক্তরাজ্যের এমকে–৫ এয়ারক্র্যাফট, ফ্রান্সের এয়ার ডিফেন্স রাডার, ইতালির ফিক্সড উইং আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল এবং জার্মানির প্রাইমারি ট্রেইনার এয়ারক্র্যাফট।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের চলতি মেয়াদে (২০১৮-২৩) সশস্ত্র বাহিনী সরকারের ১৩ হাজার ২৩৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ১২টি এবং নৌবাহিনী বাস্তবায়ন করছে ৫টি প্রকল্প। তিনটির চুক্তি হয়েছে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাকিগুলো হয়েছে অর্পিত ক্রয় পদ্ধতিতে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণ, বাঁধ রক্ষা, নদী রক্ষা ও ড্রেজিং ইত্যাদি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সময়কালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী ও অর্জনগুলো সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। রাজস্ব বাজেটের আওতায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পূর্ত কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক ২০১৮-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের স্থিরচিত্র উপস্থাপন করা হয়।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, মো. মোতাহার হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. নাসির উদ্দিন, মো. মহিববুর রহমান এবং নাহিদ ইজাহার খান বৈঠকে অংশ নেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image