• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেনের যাত্রা শুরু


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০২ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০১:২৪ পিএম
আবার বেনাপোল ফিরব
মোংলা রুটে ট্রেনের যাত্রা শুরু

নিউজ ডেস্ক: বেনাপোল টু মোংলা রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো ট্রেন চলাচল। উদ্বোধনের প্রায় সাত মাস পর মোংলা কমিউটার ট্রেন চলাচলের মধ্যদিয়ে দেশের দুটি বৃহত্তর বন্দরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপিত হলো। এতে অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক উন্মোচিত হলো। 

শনিবার সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল স্টেশন থেকে ৬শ’ যাত্রী নিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। বেলা ১১টায় যশোর জংশনে এসে পৌঁছায়। যাত্রা বিরতি শেষে ফের রওনা হয়। বর্তমানে সপ্তাহের প্রতিদিন একটি ট্রেন চলবে এই রুটে। এই রুটে ভাড়া সর্বনিম্ন ২০ টাকা ও  সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা  নির্ধারণ করা হয়েছে।  পরবর্তীতে আরও ট্রেন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বেনাপোল টু মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি এই অঞ্চলের মানুষ।

সূত্র জানায়, বেনাপোল থেকে মোংলা পর্যন্ত ১৩৮ কিলোমিটার রুটে মোট ৮টি স্টেশনে দাঁড়াবে মোংলা কমিউটার ট্রেনটি। খুলনার ফুলতলা পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টা ৫০ কিলোমিটার, এরপর ফুলতলা থেকে মোংলা নতুন রেলপথে এ ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে ট্রেন ছাড়ার পর নাভারণ, ঝিকরগাছা, যশোর জংশন, রূপদিয়া, সিঙ্গিয়া, চেঙ্গুটিয়া, নওয়াপাড়া, বেজেরডাঙ্গা, ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালি, চুলকাটি বাজার, ভাগা ও দিগরাজ স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর মোংলায় যাবে।  ট্রেনটি মোংলায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। এরপর মোংলা থেকে ট্রেনটি ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং বেনাপোলে পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। সপ্তাহের প্রতিদিন রুটে একই সময়ে ট্রেন চলাচল করবে। তবে প্রথম দিনেই ৪৫ মিনিট দেরিতে বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ছেড়েছে।

কমিউটার ট্রেনের চালক আজগর আলী জানান, চাকরি জীবনে এই প্রথম কোনো নতুন রুটে ট্রেন পরিচালনা করছি, এ অনুভূতি বলে বোঝানোর না। আনন্দিত আর উৎফুল্ল লাগছে খুব। নতুন রুটে প্রথম দিন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। আমার চাকরি জীবনে ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। সকালে ট্রেনটি খুলনা থেকে পরিচালনা করে বেনাপোল এসেছি। বেনাপোল থেকে মোংলা পর্যন্ত যাব সেখান থেকে আবার বেনাপোল ফিরব।

ট্রেন যাত্রী উজ্জ্বল পাল বলেন, ট্রেনে বেনাপোল ও মোংলা সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ অনেক সুফল ভোগ করবে। দুই বন্দরকে ঘিরে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। স্বল্প খরচে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। আপাতত একটি ট্রেন চালু হয়েছে। আমাদের দাবি থাকবে এই রুটে আরও ট্রেন বাড়ানো হোক।

ট্রেন যাত্রী মোবারক হোসেন বলেন, আমরা ৫ বন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এই রুটে যেদিন ট্রেন চলবে, আমরা মোংলায় ঘুরতে যাব। ট্রেন চলাচল শুরু হলো। আমরা ঘুরতে যাচ্ছি। গণপরিবহন হিসেবে সাশ্রয়ী ভাড়ায় এই অঞ্চলের মানুষ মোংলা-বেনাপোল রুটে চলাচল করতে পারবে। এতে আমরা সবাই খুশি।

ট্রেন যাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, আমি সকালে ভারত থেকে এসেছি। এখন মোংলার ট্রেনে উঠে কাটাখালী স্টেশনে নামব। এর আগে বাসে যাতায়াত করতাম। এতে খুলনা থেকে বাস পরিবর্তন করতে হতো। কিন্তু ট্রেন চালু হওয়াতে সময় কম লাগবে আর ভাড়াও কম।

যশোর স্টেশনের মাস্টার আয়নাল হাসান বলেন, মোংলা কমিউটার ট্রেন চালুর মধ্যদিয়ে বেনাপোলের সঙ্গে মোংলার সরকারি সংযোগ স্থাপিত হলো। যাত্রী, মালামাল সব কিছুই এই ট্রেনে বহন করা যাবে। এখন একটি ট্রেন চালু হলো। তবে ভবিষতে এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। যখন একটি লাইন চালু হয়, দুই একটি ট্রেন দিয়েই চালু হয়। তারপর দিন দিন ট্রেন বাড়বে। মানুষের সুযোগ সুবিধাও বাড়বে। এই রুটে চলাচলকারী প্রত্যেকেই উপকৃত হবেন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image