• ঢাকা
  • শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

অমিত শাহের অরুণাচল সফরে চীনের আপত্তি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:১৮ পিএম
শাহের পরিকল্পিত সফরের তীব্র বিরোধিতা
অমিত শাহের অরুণাচল সফর

নিউজ ডেস্ক:  ভারতের প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। সোমবার (১০ এপ্রিল) প্রকল্প উদ্বোধনের পর শাহ জানিয়েছেন, নতুন এই প্রকল্প অরক্ষিত সীমান্তের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন এই ভারতীয় রাজ্যটিকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে। বেইজিং শাহের পরিকল্পিত সফরের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়েছে, এই অঞ্চলে তার কার্যকলাপ চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। কিন্তু শাহ চীনের আপত্তি উপেক্ষা করে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

নয়াদিল্লির এই উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চীন সীমান্তবর্তী চারটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রায় তিন হাজার গ্রাম রয়েছে। শাহ জানান, এই কর্মসূচি সীমান্ত এলাকা থেকে মানুষের অভিবাসন রোধে সহায়তা করবে। কেউ যেন ভারতের সীমান্তে চোখ রাখতে না পারে বা তার ভূমি দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

চীনকে মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে। ২০২০ সালে পশ্চিম হিমালয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২৪ জন নিহত হওয়ার পর থেকে বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।

অরুণাচল প্রদেশও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে রাজ্যের তাওয়াং সেক্টরে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গত সপ্তাহে চীন অরুণাচল প্রদেশের ১১টি অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করে 'ঝাংনান' নামে একটি মানচিত্র প্রকাশ করলে ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
 
সোমবার অরুণাচল সফরে গিয়ে তিনি জানান, সীমান্তে সেনাদের 'সাহস ও আত্মত্যাগের' কারণে সীমান্ত এলাকায় ভারতীয়রা শান্তিতে ঘুমাতে পারে।

অরুণাচল প্রদেশও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।অরুণাচল প্রদেশও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

চীন সীমান্ত থেকে কয়েক মাইল দূরে শেষ গ্রাম আনঝাও জেলার সীমান্তবর্তী কিবিথু গ্রামে এক জনসভায় তিনি বলেন, 'তারা নিশ্চিত করতে চায় যে কেউ আমাদের সীমান্তে আমাদের চোখ কেড়ে নিতে না পারে। আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের ভূখণ্ড দখলের দিন শেষ হয়ে গেছে।'

১৯৬২ সালে ভারত ও চীন একটি স্বল্পস্থায়ী কিন্তু রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। সেই সময়, কিবিথু ছিল প্রথম অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি যেখানে চীনের বাহিনী প্রবেশ করেছিল। এমনকি ১০ বছর আগেও গ্রামটি শূন্য হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ ছিল বলে জানান শাহ।

তবে, সোমবার তিনি যে 'ভাইব্রেন্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম' চালু করেছেন, তাতে ব্যাংকিং, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, চাকরি, ভৌত ও ডিজিটাল সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদি সরকার চীনের সঙ্গে ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি ডলার ঢালছে।

যা চীনের উপর প্রভাব ফেলছে। সোমবার অমিত শাহের অরুণাচল সফরের আগে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, 'ঝাংনান চীনের এলাকা। একজন ভারতীয় কর্মকর্তার সেখানে সফর চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতায় মোটেও সহায়তা করবে না।'

ঢাকানিউজ২৪.কম /

আরো পড়ুন

banner image
banner image