নিউজ ডেস্ক : শহীদ ডা.শামসুল আলম খান মিলন দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে ডা. মিলন স্মরণে আলোচনা সভা ২৭ নভেম্বর বিকেলে সেগুনবাগিচাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে তিনটায় এই আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান, দেশের খ্যাতিমান কবি, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা কবি মোহন রায়হান। বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজুর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার, মনজুর আহমেদ মনজু, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা বাদল খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ জাসদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবদুস সালাম খোকন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন চঞ্চল।
সভায় শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, 'শহীদ ডা. মিলনের ৩৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।গনতন্ত্রের জন্য জীবনদান করেছিলেন ডা.মিলন। সেই গণতন্ত্রের জন্য আজও লড়াই করতে হচ্ছে। দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেশকে বিভক্তির দিকে ঠেলে দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণকে উপেক্ষা করে বড় দলগুলো বিদেশীদের তাবেদারী করতে যেয়ে দেশকে অনিরাপদ করে ফেলেছে। লুটপাটকারীরা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।লুটপাট, গুম, খুন ক্ষমতাসীনদের নৈতিক ভাবে দুর্বল করে ফেলেছে। তাই তারা গ্রহযোগ্য, অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের পথে না গিয়ে বিরোধীদের বাসা বাড়ীতে হামলা করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করছে। সরকারের এহেন কর্মকান্ডে সরকার আদৌ নির্বাচনে আগ্রহী কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের বলতে চাই, এখনো সময় আছে, আলাপ আলোচনা করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করুন, সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি ধারাবাহিক ভাবে চলছে। ষড়যন্ত্রের সেই ধারাবাহিকতায়ই বর্তমান সরকারও ক্ষমতায় আছে। উন্নয়নের কথা বলে তারা ক্ষমতা চীরস্থায়ী করতে চায়। সত্যিকারের নির্বাচন হলে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিপদের পড়ে আজ সচ্ছ নির্বাচনের কথা বলছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলাম। আমাকে সেদিন মুশতাকের কেবিনেটের মন্ত্রীরা বলেছিলেন সেলিম এই সকল মিছিল বন্ধ কর। এগুলো করলে আওয়ামীলীগের যে কেবিনেট আছে এরা এটা ভেঙ্গে দেবে। ক্ষমতালোভীরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগকে গ্রাস করেছে। আমরা দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা চাই।
কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে কখনোই গণতন্ত্র ছিল না। এখন এই সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে। শাসক শ্রেনী থেকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী না হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ১৫ বছর যাবত ক্ষমতায় আছেন। উন্নয়নের কথা বলছেন, দেশবাসী দেখছে লুটপাটের উন্নতি, দলবাজির উন্নতি, দিনের ভোট রাতে করার উন্নতি। এখনো সময় আছে, আটক বিরোধী নেতাদের মুক্তি দিয়ে আলোচনা করে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। দেশকে এই সঙ্কট থেকে বাঁচান।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: