• ঢাকা
  • শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

যক্ষ্মার ওষুধ বিদেশেও রপ্তানি হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৩:৪৯ পিএম
যক্ষ্মার ওষুধ বিদেশেও রপ্তানি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যক্ষ্মায় আক্রান্তদের ৯৫ ভাগই চিকিৎসা পাচ্ছেন। তাদের জন্য দেশেই ওষুধ তৈরি করছে সরকার। আগামীতে যক্ষ্মার ওষুধ বিদেশেও রপ্তানি করা হবে।

তিনি বলেন, দেশে ভালো মানের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টিবি (যক্ষ্মা) চিকিৎসার জন্য আমাদের যে বাজেট বরাদ্দ রয়েছে, প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে।

জাহিদ মালেক রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ৯ম যৌথ মনিটরিং কর্মশালায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ৩ লাখের বেশি মানুষ যক্ষ্মায় নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে মারা যাওয়ার হার কমেছে। আগে যেখানে ৭০ হাজার ছিল, বর্তমানে সেটি ৪০ হাজারে নেমে এসেছে। আমাদের দেশে মৃত্যু বেশি, কারণ আমাদের জনসংখ্যাও বেশি। 

তিনি বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি হয়েছে, শনাক্তকরণ (স্ক্রিনিং) কার্যক্রম বেড়েছে। আমাদের সকল হাসপাতালে পরীক্ষার যন্ত্রপাতি রয়েছে। যক্ষ্মা নিয়ে মানুষের মাঝে এখনো ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তবে পরিবর্তন আসছে, মানুষ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে আক্রান্তদের ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছে। আমরা চাই মানুষ চিকিৎসা নিতে আসুক। 

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার কারণে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ সময় আমাদের স্বাস্থ্য খাত চাপে পড়েছিল। হাসপাতালের বেশিরভাগ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য দিয়ে দিতে হয়েছিল। নতুন নতুন হাসপাতাল করতে হয়েছে, শয্যা ও সুযোগ সুবিধা যুক্ত করতে হয়েছে। এ সময় টিবিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করে খুব দ্রুতই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। বাংলাদেশে ৯০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। অথচ সারাবিশ্বে ৭০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জিরো টিবি লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব। ডায়াবেটিস, তামাকজাত দ্রব্য টিবি নির্মূলের বড় অন্তরায়। তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে টিবি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে টিবি নির্মূলে কাজ করতে হবে। তাহলেই আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টিবিমুক্ত হবে। সরকারি এই উদ্যোগের সঙ্গে অবশ্যই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image