![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
নিউজ ডেস্ক: সিলেট অঞ্চলে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার বোরোর বাম্পার ফলনও হয়েছে। চাষিরা এ বছর মধ্য বৈশাখ পর্যন্ত অনেকটা নির্বিঘ্নে প্রকৃতি নির্ভর এই বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। কিন্তু শুক্রবার (৩ মে) থেকে রোববার (৫ মে) পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি, বজ্র বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামার আশঙ্কা ব্যক্ত করে আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক বার্তা দিলে কৃষকসহ এলাকাবাসী দুশ্চিন্তায় পড়ে যান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী উদয় রায়হান বুধবার (১ মে) এক বার্তায় জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। উজান থেকে নেমে আসা ভারী বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর কানাইঘাটের লোভা ছড়া, গোয়াইন নদীসহ সিলেটের চার জেলার নদনদী বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে এরই মধ্যে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ছে। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ১৫ লাখ টাকা ও ১০ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
সিলেট বিভাগের চার জেলার বোরো ফসল স্থানীয়ভাবে খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ধান জাতীয় খাদ্যভাণ্ডারে যোগ হয়। তাই সিলেটের বোরো ধানের জন্য মুখিয়ে থাকে সারাদেশ। সিলেটের কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার সিলেটে বিভাগে ২০ লক্ষ ২২ হাজার ৯৮১ মে.টন ধান কৃষকের গোলায় উঠার কথা।
এদিকে প্রশাসন বন্যা, ঢলসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় জেলায় সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রশাসন সভা-সমিতির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সব ধরণের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নেত্রকোণা এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যা থেকে ফসল রক্ষার জন্য ৮০ ভাগ ধান পাকলেই ধান কেটে ঘরে তোলার জরুরি পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যা থেকে মাঠের অন্যান্য ফসল রক্ষায়ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ
আপনার মতামত লিখুন: