
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি অসংগতিপূর্ণ এবং এরমধ্যে অনেক অস্পষ্টতা আছে। এটির বাস্তবায়ননীতি কেমন হবে সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'মার্কিন নতুন ভিসা নীতি : বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন। এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) এই সভার আয়োজন করে।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমার ধারণা এই নীতির ফলে দুইটি বিষয় ঘটবে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হওয়ার টার্গেট নিয়েছে। সেই ভিশনকে যাতে কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নষ্ট না করতে পারে অথবা যে কোনো অপশক্তির উত্থান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ব্যত্যয় না করে সেক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি ভূমিকা রাখতে পারে।
আরেকটি বিষয় হলো প্রধানমন্ত্রীর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। তিনি জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন। কোনোক্রমেই যেন স্বচ্ছতার ব্যত্যয় না ঘটে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার যেই মূল্যবোধ পোষণ করছেন সেই মূল্যবোধ বিকাশে যেটি বাধাগ্রস্ত হবে সেটার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে নতুবা সবগুলোই (ভিসা নীতি) আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫১ বছরের যে সম্পর্ক তাতে এই ভিসা নীতি কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা দেখার বিষয় আছে। এতে তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতিতেও সমস্যা তৈরি হবে। আমরা স্বল্প মূল্যে রপ্তানি করি, অন্য দেশ থেকে আমদানিতে তাদের খরচ বেশি হবে। ফলে আমরা যে রপ্তানি করি, তাতে তারাও বেশ লাভবান হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। আলোচনা করেন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চক্রবর্তী, স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এস
আপনার মতামত লিখুন: