
নিজস্ব প্রতিবেদক :
উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালুর মধ্যে দিয়ে মেট্রোরেলের নয়টি স্টেশনের মধ্যে চারটি যাত্রীদের জন্যে উন্মুক্ত হলো। ফলে শনিবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এই স্টেশনটি। অন্য স্টেশনগুলোর মতো প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই স্টেশন থেকেও যাত্রীরা মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শনিবার উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালু করা হয়েছে। মার্চের মধ্যে ধাপে ধাপে সব স্টেশন খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে এ স্টেশন চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে ভাগ্য খুলে গেলো দিয়াবাড়িতে নির্মিত উত্তরা তৃতীয় পর্বে গড়ে ওঠা রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের বাসিন্দাদের। প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা। গড়ে উঠেছে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট। এ ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মাত্র ১০ মিনিট পথ পায়ে হেঁটেই উত্তরা সেন্টার স্টেশনে যেতে পারবেন।
রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোজাফফর উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মেট্রোরেলের পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে আবাসন প্রকল্প নেয়া হয়। আবাসনের বাসিন্দাদের মূল শহরে সংযোগ তৈরি করবে মেট্রোরেল। কারণ আবাসন এলাকা থেকে হেঁটে সহজেই রেলস্টেশনে যাতায়াত করা যাবে। ফ্ল্যাট বরাদ্দ শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালু হওয়ায় প্রকল্পের সকল বাসিন্দাদের ভাগ্য খুলে গেলো। কারণ এ প্রকল্প এলাকা থেকে উত্তরা সেন্টার স্টেশনে যেতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে, তাও আবার হেঁটে। মেট্রোরেল এ আবাসনের জন্য আশীর্বাদ। তবে বর্তমানে ৪ হাজার পরিবারের ১৬ হাজার মানুষ বসবাস করছে। অনেকে ব্যবসা করেন তারাও এ এলাকায় বসবাস করছেন।
উত্তরার বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, মেট্রোরেল চালুর পর উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশন গিয়ে ট্রেনে উঠতে হতো। কিন্তু এখন থেকে সেই সমস্যায় আর পড়তে হবে না। এস্টেশনটি চালু মধ্যে দিয়ে আমাদের যাতায়াতের আরু সুবিধা হলো। তবে ফার্মগেট স্টেশন চালু হলে আরও অনেক সুবিধা হতো।
ঢাকানিউজ২৪.কম / এম আর
আপনার মতামত লিখুন: