নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) ১২৮টি ভোটকেন্দ্রে সকাল আটটায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
ইভিএমে ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ নিয়ে ভোটার প্রার্থী ও সমর্থকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে ইভিএম মেশিনে বেশ কয়েকজন নারীকে আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় ভোট দেওয়ার সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র এনে তাদের ভোট দিতে বলা হয়। এছাড়া বয়স্ক পুরুষদের ইভিএম নিয়ে ধারণা না থাকায় ভোট দিয়ে গিয়ে তারা বেশি সময় নিচ্ছেন। তবে ভোটগ্রহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকে ইভিএমে ভোট দেওয়া খুবই সহজ বলেও মন্তব্য করেছেন।
নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এমন ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়। মহাকালী গার্লস স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে নারী ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে। এ প্রতিষ্ঠানটিতে নারীদের জন্য দুটি কেন্দ্রের ব্যবস্থা রয়েছে। একটি কেন্দ্রে ভোটার ১৫৬০ জন, অপর কেন্দ্রে ২৪৬০ জন। আগ্রহ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসছেন নারী ভোটাররা। তবে ইভিএম মেশিনে অনভ্যস্ত ভোটারদের ভোট দিতে বেশি সময় লাগছে। অনেকের আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় ভোটগ্রহণে ধীরগতি দেখা দেয়।
নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট দিতে যান কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মাহমুদা খাতুন। তিনি বলেন, ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মেশিনে আঙুলের ছাপ ওঠেনি। দায়িত্বরত লোকজন বলেছেন, বাড়ির কাজ করার কারণে আঙুলের ছাপ মিলছে না। জাতীয় পরিচয়পত্র এনে আমাকে ভোট দিতে বলা হয়েছে। একই কথা বলেন আরেক ভোটার রাহেলা খাতুন।
ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা জানালেন সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ভোট দিতে তাকেও একাধিকবার আঙ্গুলের ছাপ দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে ভোগান্তির কথা শুনছি। অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না। ভোটারদের যেন বারবার ঘুরতে না হয়। কারণ বিড়ম্বনা হলে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবে না। কেউ যেন ভোট না দিয়ে ফিরে না যায়। সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করব।
হাতি প্রতীকের আরেক মেয়রপ্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু বলেন, ইভিএমে ভোট নিয়ে ধীরগতি পুরোনো সমস্যা। এটি মেনেই ভোট চলছে।
তবে অনেকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। অনেক ভোটার বলছেন, এবার ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে জাল ভোট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
আব্দুল হালিম নামের ভোটার বলেন, চাপ দিতেই কম্পিউটারে সব কিছু বলে দিচ্ছে। সহজেই ভোট দিয়েছি।
প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাজল চন্দ্র দাস বলেন, নারী ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিতে একটু সমস্যা হওয়ায় একটু সময় বেশি লাগছে। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: