• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নির্বাচনী লড়াইয়ে উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: সোমবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৪৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ আখ্যা
উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক:  বৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারতে জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সেই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী পক্ষের কথার লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশটির রাজনীতি। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের ১৯ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকে ‘স্বৈরতন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে লোকসভা ভোটে তাকে হারানোর ডাক দিলেন ‘ইন্ডিয়া ব্লক’ জোটের নেতারা। 

রোববার রাজধানী নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত বিশাল জনসভায় বিরোধী নেতারা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাতিয়ার করে দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার খেলায় মেতেছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। একজোট হয়ে এর মোকাবেলা করাই এখন সময়ের দাবি।’

সভা থেকে আসন্ন নির্বাচন ঘিরে মোদির বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মূলত লোকসভা নির্বাচনের আগে দুই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছে মোদির নেতৃত্বাধীন এক কমিটি। এ কমিটিতে মোদি ছাড়াও লোকসভার সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছিলেন। নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ঘটনার সমালোচনা করেই এ মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী।

রাহুল বলেন, ‘ক্রিকেটে ম্যাচের ফল নিজেদের পছন্দসই করার জন্য আম্পায়ারকে চাপ দেয়া হয়। একে ম্যাচ ফিক্সিং বলে। এবারের নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটছে। নরেন্দ্র মোদি ম্যাচ ফিক্স করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তিনি দুজন খেলোয়াড়কে কারাগারে বন্দি করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের সব অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এটা কী ধরনের নির্বাচন? আমাদের লড়াই সংবিধান রক্ষার জন্য।’

জনসভায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকেও দেখা যায়। তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বসে ছিলেন। মঞ্চে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের স্ত্রী কল্পনা সরেনও।

কার্যত বিরোধীদের শক্তি প্রদর্শনের জন্যই তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন। আসন ভাগাভাগি নিয়ে ভারতীয় জোটের শরিকদের মধ্যে নানা অসন্তোষ থাকলেও কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে একজোট হওয়া দলগুলো ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলোর এ সমাবেশে ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো নির্বাচন কমিশনকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আয়কর, সিবিআই ও ইডির পদক্ষেপ বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সরেনকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিরোধী দলগুলোকে আর্থিকভাবে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির তহবিল লুটপাট তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।

এদিকে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের দ্বীপ শ্রীলংকার হাতে তুলে দিয়েছেন বলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল সকালে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে শ্রীলংকার দ্বীপ নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন তিনি।

তামিলনাড়ুর মূল ভূখণ্ডের অদূরে রয়েছে কচ্চতীবু দ্বীপ। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দ্বীপটি শ্রীলংকাকে দিয়ে দেয়া হয়। সম্প্রতি ওই দ্বীপসংক্রান্ত একটি তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এক্স পোস্টে মোদি লিখেছেন, আরটিআই রিপোর্ট চমকপ্রদ। আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। এখান থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেস কেমন নিষ্ঠুরভাবে কচ্চতীবু শ্রীলংকার হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশের প্রত্যেক নাগরিক এতে ক্রুদ্ধ হয়েছিল। তখনই বোঝা হয়ে গিয়েছিল, কংগ্রেসকে বিশ্বাস করা যায় না। ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতাকে নষ্ট করেছে কংগ্রেস।
 

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image