নিউজ ডেস্ক : আগামী জুন নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচির আওতায়। তাই ঋণের চতুর্থ কিস্তির জন্য জুনভিত্তিক দুই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনতে ছাড় চাইবে শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা আইএমএফ মিশনের কাছে বাংলাদেশ। আগেও বাংলাদেশ এ দুটি ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রায় ছাড় নিয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল সফরে আসা আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছে। আগামী ৮ মে পর্যন্ত তারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর নাগাদ পরিপালনের জন্য মোটা দাগে সংশোধিত যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ছাড়া অন্য সব শর্ত পূরণ হয়েছে। রিজার্ভের ঘাটতিও খুব বেশি নয়। তাই ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছে সরকার। তবে বর্তমান গতি-প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করে সরকার মনে করছে, আগামী জুনভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে রিজার্ভ ও রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। তাই আবারও এ দুই ক্ষেত্রে ছাড় চাইবে বাংলাদেশ।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে বর্তমান মিশন ঢাকায় অবস্থান করছিল। তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় হবে আগামী মাসে। এই কিস্তির জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন শর্তের বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করছে মিশন। আর চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য আগামী জুনভিত্তিক শর্ত পরিপালনের কথা রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: