নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ফরিদপুরবাসী। শনিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ টাইমস মিডিয়া ভবনের বাঙ্কুয়েট হলে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। ‘বৃহত্তর ফরিদপুর ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন (জিএফএফএ)’ এবং ‘ফরিদপুর এএনডি-ইউ ফোরাম’ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এএনডি-ইউ ফোরামের সভাপতি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. ফারুক আজম, ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. আবুল হাসেম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সদস্য রেজাউল হায়দার ফিরোজ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য এসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক সাব্বির হোসেন। এছাড়া ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে এ. কে. আজাদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে এ. কে. আজাদ তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। একইসঙ্গে তিনি তার উত্থানের গল্পও শোনান। তিনি বলেন, আমি ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেও তা পাইনি। মানুষের চাওয়ার প্রেক্ষিতেই আমি নির্বাচনে দাঁড়াই। অনেক প্রবীণ ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন, ‘আপনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলেই আমি ভোট দিতে যাবো।’ দিন যত গড়িয়েছিলো, ততই মানুষের সমর্থন বাড়ছিলো। যেখানেই যেতাম, মানুষ আমাকে বলতো, ‘ভোট নিয়ে আপনি ভাববেন না। আপনি শুধু দেখেন ভোট যেন সুষ্ঠু হয়।’
তিনি বলেন, আমি মানুষের জন্যে যে কাজ করতে পারবো, সেই প্রতিশ্রুতিই দিয়েছি। যা পারবো না, সেই প্রতিশ্রুতি আমি দেইনি। আমার সামর্থ্যের মধ্যে আমি প্রতিশ্রুতি করেছি। সরকারি প্রতিশ্রুতি করিনি। আমি তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। একটি হলো– কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, দ্বিতীয়ত– মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং সর্বশেষ হলো– সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা। এই বিষয়গুলো আমার হাতের মধ্যে রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আমার একার পক্ষে এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য আমার সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় তিনি কর্মসংস্থান এবং মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে তার নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আমার হাতে সময় কম। আমাকে ২০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে হবে। আমি ‘প্যাট্রিয়ট’ নামে একটি কবিতা পড়েছি। তাতে বলা হয়, যখন নেতা আসে, তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে মানুষ ঢিল মেরে বিতাড়িত করে। অতএব আমি মানুষের ঢিল নিয়ে যেতে চাই না। মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, অতটা না হোক অন্তত এর অর্ধেকটা হলেও তাদের জন্যে করতে চাই।
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে এ. কে. আজাদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: