• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

অফিসে বসে গুনে গুনে ঘুষ নিলেন ভূমি কার্যালয়ের সহকারী


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৩২ পিএম
অফিসে বসে গুনে গুনে ঘুষ নিলেন
ভূমি কার্যালয়ের সহকারী

বিজয় কর রতন, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের ভূমি কার্যালয়ে বসে পাঁচ হাজার টাকা গুনে নিচ্ছেন সহকারী আবদুল কাদির মিয়া—এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় ভূমি সহকারী আবদুল কাদির মিয়াকে উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে। 

একজন সেবাগ্রহীতা বলছেন, ‘সব খারিজ তো সমান না। গরিব মানুষ। কাজটা করে দিয়ে দেন।’ উত্তরে আবদুল কাদির বলছেন, ‘কথা ছিল ৬ হাজার টাকা দেবেন। কম দিতে পারবেন না। প্রয়োজনে পরে হলেও দিতে হবে। একটা কাজ করে কিছু টাকা পাওয়া না গেলে চলে কি?’ এরপর টাকাগুলো গুনে পকেটে ভরেন আবদুল কাদির। চলে যাওয়ার সময় সেবাগ্রহীতা আবারও বলেন, ‘আপনি আরও এক হাজার টাকার আবদার করেছেন, এরও বিহিত হবে। আপনি কাজটা করে রাখেন।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল কাদির মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভূমি অফিস থেকে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে আর বাড়তি কথা বলতে চাই না।’মাইজকাপন ইউনিয়নের লোকজন জানিয়েছেন, ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেন না সহকারী আবদুল কাদির। 

ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো কাজে ভূমি কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয় সেবাগ্রহীতাদের। সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা না দিলে তিনি কথাই বলেন না। কাজ তো দূরের কথা। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় লোকজন। নুরুল ইসলাম, মাহবুবুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, খারিজ ফি তিন হাজার টাকা হলেও সেখানে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। টাকা দেওয়ার পরও কাজ করতে গিয়ে হয়রানিসহ মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। ঘুষ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর আবদুল কাদির মিয়ার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image