![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে যমুনার আগ্রাসী ভাঙনে গত ১৫ দিন যাবৎ একের পর এক বিলিন হচ্ছে উপজেলার তেকানি ইউনিয়নের হাড্ডিরঘাট এলাকার ফসলী জমি, বসত বাড়ি। সরিয়ে নেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। গত তিনদিনের একটানা বৃষ্টিতে এই ভাঙনের তীব্রতা আর বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনার পেটে চলে গেছে প্রায় দশ একর ফসলী জমি, ঘরবাড়ি ও গাছপালা। ভাঙন রোধে এই মুহুর্তে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা।
এদিকে বৃষ্টি আর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হাড্ডিরঘাট এলাকার মানুষের জীবন। ওই এলাকাসহ পাশের নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বি¯Íীর্ন এলাকাকে রÿায় নির্মিত সোয়া কিলোমিটার বেড়িবাঁধের শেষ অংশটুকুও ধসে গেছে। মানুষের চোখের সামনে একের পর এক যমুনার পেটে যাচ্ছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছাপালা। এদিকে যমুনার বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলের এই ভাঙন ঠেকাতে পাউবোর নেই তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা।
তেকানির হাড্ড্রি ঘাট এলাকায় ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে মানুষের। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। সরানো হয়েছে সঞ্চালন লাইনসহ বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো কাজীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহিন আলম জানান, গত এক সপ্তাহের ভাঙনে আমার বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। স্থানীয় মন্ডলবাড়ী বাঁধটি ধসে যাওয়ায় আমরা আরও আতঙ্কে রয়েছি।
তেকানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ জানান, যমুনার জেগে ওঠা চরের ভাঙন ঠেকাতে উপজেলা পরিষদ থেকে বস্তা ফেলে চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু ভাঙন এতোটাই তীব্র যে সে প্রচেষ্টা কাজে আাসেনি।
এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ভাঙন রোধে চর এলাকায় কোন প্রকল্প নেই। এই মুহুর্তে ভাঙন রোধে কিছু করার নেই। চর এলাকা গুলোতে ভাঙন রোধে প্রকল্প নিতে হবে। সরকার একটি চিন্তাভাবনা করছে চর গুলোকে স্থায়ী করনের জন্য। এজন্য মেগা প্রকল্প হাতে নেয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: