• ঢাকা
  • সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১৭ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

বরিশালে প্রায় ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:২৭ এএম
৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে
ঘূর্ণিঝড় রেমাল

নিউজ ডেস্ক:  ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বরিশাল বিভাগে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে বরিশাল বিভাগ জুড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বিভাগের হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বিভাগ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) দেড় সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। ৪ নম্বর সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পতাকা উত্তোলন, মাইকিং দিয়ে প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে এসব স্বেচ্ছাসেবকরা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে ৪৭০-৪৭২টির মতো মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যারা দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিত্সা সেবা প্রদান করবেন।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মোট আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ভোলায় ৭৪৬টি ও পটুয়াখালীতে ৭০৩টি রয়েছে। এছাড়া বরগুনায় ৬৪২টি, বরিশালে ৫৪১, ঝালকাঠিতে ৪৮৮ ও পিরোজপুরে সর্বোচ্চ ৮৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। একই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিপিপি’র উপ পরিচালক আব্দুর রশীদ বলেন, এছাড়া বিভাগ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বরিশাল সদরে ৬০ জন রয়েছে। এছাড়া ভোলায় ১৩ হাজার ৬০০, পটুয়াখালীতে ৮ হাজার ৭০০, বরগুনায় ৮ হাজার ৪৪০ ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১ হাজার ৭০০ জন সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার ৫৪১টি আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে সেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দূর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইচ

আরো পড়ুন

banner image
banner image