![website logo](https://www.dhakanews24.com/webimages/logo.png)
মেডিকেল প্রতিবেদক : রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় থেকে সামিউল আলম ধ্রুব (১৫) নামে নবম শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১ জুন) রাতের দিকে খিলগাঁও এর বনশ্রী এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত সোয়া ১ টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতলে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, ধ্রুব কুষ্টিয়া সদরের কালিশঙ্করপুর গ্রামের জাহিদুল আলম রাজুর ছেলে। বর্তমানে খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ভাড়া থাকতো। ধ্রুব বনশ্রী মডেল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধ্রুব ছিল ছোট।
নিহতের বাবা জাহিদুল আলম জানান, প্রায় সাত বছর আগে ধ্রুবর মায়ের সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে আমার দুই ছেলে ধ্রুব এবং তার বড় ভাই ঢাকার ওই বাসায় থেকেই লেখাপড়া করত। আমি একসময়ে যমুনা টেলিভিশনে চাকরি করতাম। বর্তমানে একটি প্রোডাকশন হাউজে চাকরি করি। সাত মাস যাবত আমার পোস্টিং ঢাকায় হওয়ায় আমি দুই ছেলের সাথে বনশ্রীর বাসায় থাকি। গত রাতে ধ্রুব রান্না করেছে এবং আমরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছি। কয়েকদিন যাবত ধ্রুবকে কিছুটা শান্ত ও ডিপ্রেশনে থাকলে যেরকম দেখায় সেরকম দেখতে পাই। কিন্তু ও সব সময় চুপচাপ থাকতো। কাউকে কিছু বলতো না। রাতের খাবার খেয়ে আমি স্যান্ডেল কেনার জন্য মৌচাক মার্কেটে যাই। বাসায় ফিরে দেখি গলায় ছেলেদের পাঞ্জাবিতে ব্যবহার করা ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে ধ্রুব। অচেতন অবস্থায় দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান আমার ধ্রুব আর বেঁচে নেই।
কান্না জড়িত কন্ঠে বাবা জাহিদুল আলম জানান। 'কেন ধ্রুব এ ঘটনাটি ঘটালো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না ভাই। ওতো কিছুই আমাকে বলল না, কি ওর সমস্যা ছিল। ওর তো কারো প্রতি কোন অভিমান ছিল নারে ভাই'।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী ধ্রুবের এর মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: