মেডিকেল প্রতিনিধি : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে মোঃ জামাল হোসেন(১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় অন্য গ্রুপের মোঃ আমির(২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত সোয়া নয়টার দিকে জামালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আমিরকে জরুরী বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এবিষয়ে নিহত জামালের সহকর্মী মুজাহিদ বলেন, আমিও জামাল দুজনে চাঁদনী মাঠের একটি ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করি।আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে এলাকার ফারদিন, সিফাত, শিমুল, আরাফাত, ও ইমন গাজীসহ আরো বেশ কয়েকজন জামালকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জামালকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে আমিও তার বন্ধু আসাদুল্লাহ রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে জামালকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে তারা জামালকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সে বিষয়টি আমি বলতে পারি না।
এদিকে অন্য গ্রুপের ইমন গাজী বলেন, গতকাল জামাল গ্রুপের সাথে আমাদের সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আজ সাড়ে আটটার দিকে নিহত জামালসহবেশ কয়েকজন আমাদের মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এতে আমার বন্ধু আমিরের শরীরে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত কাজ করে তারা। পরে আমার বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে জামাল নামে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় অন্যপক্ষের আমির নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা যাত্রাবাড়ী থানাকে জানিয়েছি।
ঢাকানিউজ২৪.কম / জেডএস/সানি
আপনার মতামত লিখুন: