• ঢাকা
  • শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৭ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: রবিবার, ০২ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:১১ পিএম
তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন
নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক:  বেশিরভাগ বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন এবং সেই সঙ্গে তার দল বিজেপি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে।

অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশটির সদ্য সমাপ্ত ভোটে বিরোধী জোট হতাশাজনক ফল পেতে চলেছে বলে বুথফেরত জরিপে পূর্বাভাস দেয়া হয়। 
 
বুথফেরত জরিপ সবসময় সঠিক হয় না। কিন্তু এরপরও যদি আগামী মঙ্গলবার (ওইদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন) সরকারি ফলাফল বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তাহলে সম্পদের ব্যাপক অসমতা, রেকর্ড বেকারত্ব ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মতো বিষয়গুলোর মধ্যেও মোদির বিজেপি শুধু অক্ষতই থাকবে এমন নয়, ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে আরও ভাল ফল করবে।
 
স্বাধীন ভারতে এর আগে আর কোনো প্রধানমন্ত্রীই টানা তিনবারের প্রতিবারই আসনসংখ্যা বাড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। ভারতীয় গণমাধ্যম সংস্থাগুলো প্রকাশিত কমপক্ষে সাতটি বুথফেরত জরিপ পূর্বাভাস দিয়েছে যে বিজেপি ও তার মিত্ররা তথা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৫০ থেকে ৩৮০টি আসন পেতে পারে।
 
তবে এসব বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাস উড়িয়ে দিয়ে ছোট-বড় দুই ডজনেরও বেশি রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট আশা প্রকাশ করেছে যে, এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে তারা বিজেপি হিন্দু সংখ্যাগুরু সরকারকে উৎখাত করতে চলেছে।

ভারতের বুথফেরত জরিপগুলোর গোলমাল করার রেকর্ড রয়েছে। অতীতের জরিপগুলো বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য আসন হয় কমিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে কিংবা বেশি করে দেখিয়েছে। তবে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া গত দুই দশকে জরিপগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে বড় প্রবণতাগুলোর পূর্বাভাস দিতে পেরেছে।
 
বিশ্লেষকদের একটা অংশ বলছেন, নির্বাচনে বিজেপি যদি আসলেই ভাল করে সেটা হবে মূলত দলটির নেতা মোদির কারণেই। এটাকে তারা ‘মোদি ম্যাজিক’ বলেও অভিহিত করছেন। নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (সিপিআর) জ্যেষ্ঠ ফেলো নীলাঞ্জন সরকার আল জাজিরাকে বলেছেন, মোদি অসাধারণ জনপ্রিয়। এ কারণেই বিজেপির সব প্রচারের কেন্দ্রে ছিলেন মোদি।
 
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় ভালো করবে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগ বুথফেরত জরিপের ইঙ্গিত হলো, দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় আশ্চর্যজনক সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে বিজেপি।
 
বেশ কয়েকটি বুথফেরত জরিপ পূর্বাভাস দিয়েছে, বিজেপি কেরালায় দু-তিনটি আসন পেতে পারে। ভারতীয় বামপন্থিদের শেষ শক্ত ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত এই রাজ্যে মোদির দল কখনো জয় পায়নি। জরিপ অনুযায়ী, বিজেপি এবার তামিলনাড়ুতে একটি থেকে তিনটি আসন পেতে পারে। গত নির্বাচনে এখানে কোনো আসনই পায়নি বিজেপি।
  
বিজেপি ও তার মিত্ররা কর্ণাটকে তাদের আসন ধরে রাখতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এ রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। এছাড়া দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় একক বৃহত্তম বিজয়ী দল হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে এনডিএ।
 
কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানায় এমন ফলাফল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জন্য একটি নাটকীয় পরাজয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অথচ গত বছর এই এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে  বিজেপিকে পরাজিত করেছিল দলটির নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট।
 
রাজনৈতিক ভাষ্যকার অসীম আলী বলেন, দক্ষিণে বিজেপির সাফল্যলাভ আশ্চর্যজনক বিষয়। ভবিষ্যদ্বাণীগুলো দক্ষিণে বিজেপির বিশাল সাফল্যের ইঙ্গিত দিচ্ছে। জরিপে যতগুলো আসন বিজেপিকে দেওয়া হয়েছে, ফলাফলে তারা ততগুলো না পেলেও দক্ষিণে তাদের ভোট বাড়ার বিষয়টি একটি বড় পরিবর্তন।

ঢাকানিউজ২৪.কম / এইস

আরো পড়ুন

banner image
banner image