নিউজ ডেস্ক : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট এলাকায় শিলাখনির সন্ধান পায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি)। ধারণা করা হয়, ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন টন আকরিক লোহার মজুদ রয়েছে। ৪২৬ থেকে ৫৪৮ মিটার গভীরতায় খনিতে পাওয়া শিলা স্তরে ৫০ শতাংশ আকরিক লোহা রয়েছে। এই শিলা স্তরগুলো গড়পড়তায় ৬৮ মিটার পুরু।
দিনাজপুরে আবিষ্কৃত খনি থেকে আকরিক লোহা উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জার্মান কোম্পানি-ডিএমটি কনসাল্টিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেও কাজ শুরু করাতে পারেনি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি-বিসিএমসিএল।
গত ২২ জুলাই করা এই চুক্তিতে এক মাসের মধ্যে কাজ শুরুর কথা ছিল জার্মান প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু শর্ত হিসেবে তাদেরকে আগাম অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি। যে কারণে কাজও শুরু হয়নি।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটেই এটা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে ঝুলে গেছে বাংলাদেশের লোহাখনির ভাগ্য।
যদিও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দুই একদিনের মধ্যেই বৈদেশিক মুদ্রা পেয়ে যাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি।
জার্মান কোম্পানিটি কাজ শুরু করলে ছয়-সাত মাসের মধ্যেই খনির সম্পূর্ণ চিত্র চলে আসবে সরকারের হাতে। তখন নেয়া যাবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা আছে যত দ্রুত আকরিক লোহার মার্কেটে যাওয়া যায়। এটি এক্সপোর্টের জায়গাও হতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো আকরিককে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে উঠতে পারে। আমাদের যে স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ আছে, তার প্রায় সবই স্ক্র্যাব (পুরোনো ও ব্যবহৃত লোহা) দিয়ে চলে।
তবে খনিতে থাকা লোহা তোলা লাভজনক হবে কি না, এটা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরেই বোঝা যাবে। এখানে লোহা পাওয়া গেছে মাটির চারশ মিটার নিচে আর সাড়ে পাঁচ-ছয় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আছে খনিটি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা টোটাল রিজার্ভের একটা সম্ভাব্য প্রতিবেদন আমাদের দেবে। যদি দেখি এটা লাভজনক, তখন মাইনিংএ যাব, সেলিং পলিসি ঠিক করব। আমরা দেখব আমাদের লোকাল ইন্ডাস্ট্রি কতটা ডিমান্ড করে, বাকি কতটা আমরা এক্সপোর্ট মার্কেটে দিতে পারি।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট এলাকায় শিলাখনির সন্ধান পায় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি)। ধারণা করা হয়, ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন টন আকরিক লোহার মজুদ রয়েছে। ৪২৬ থেকে ৫৪৮ মিটার গভীরতায় খনিতে পাওয়া শিলা স্তরে ৫০ শতাংশ আকরিক লোহা রয়েছে। এই শিলা স্তরগুলো গড়পড়তায় ৬৮ মিটার পুরু।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: