কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি : দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বাঘৈর মৌজার মাওয়া হাইওয়ের প্রিয়াপ্রাঙ্গনের পার্শ্বে অবস্থিত ৯২ শতাংশ জমির বৈধ মালিক হিসেবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শাকিল আহমেদ দীর্ঘদিন দখলে রয়েছেন। ৮/৯ মাস পূর্বে উক্ত জমির দখল নিতে আসে ভূমি দস্যুখ্যাত খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস সালাম ফকির, হুমায়ুন, রফিক, লিংকন, হেমায়েত সহ আরও ৮/৯ জন। এক পর্যায়ে শাকিলের কাগজপত্র বৈধ বিধায় স্থানীয় চাপে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। শাকিল বার বার তাদের কাগজপত্র সহ বসার কথা বললেও তারা বিভিন্ন সময়ে বসবে বলে সময়ক্ষেপণ করে। হঠাৎ ২০/২৫ দিন পূর্বে উক্ত জমির কাগজপত্র ভূয়া সৃজন করিয়া মালিক দাবী করে শাকিলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
উক্ত অভিযোগের আলোকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসির নির্দেশে এসআই মনোয়ার শাকিলকে ফোন দেয় এবং কাগজপত্র সহ ১১ মার্চ সন্ধ্যায় থানায় আসতে বলেন। শাকিল থানার প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে থানায় আসার সম্মতি দেয়। কিন্তু হঠাৎ ০৭ মার্চ ভোরে বিপক্ষদ্বয় উক্ত জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল করতে থাকে।
বিষয়টি জেনে শাকিল দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব আলম সুমনকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু কোন মতেই বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ বন্ধ করেনি।
শাকিল পর পর দুই দিন উক্ত থানার এসআই মনোয়ার ও ওসিকে শত চেষ্টা করেও কাজটি বন্ধ করাতে পারেনি। একদিকে থানায় বসার কথা বলে শাকিলকে কালক্ষেপন করে অন্যদিকে শাকিলের বিপক্ষকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মানে শতভাগ সহযোগিতা করে থানা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে যার দায়-ভার ওসিকে নিতে হবে বলে জানান শাকিল। আমাদের রিপোর্টার ওসি ও এসআইকে বারবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।
অপরদিকে ভূমি দস্যু খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস সালাম ফকির, হুমায়ুন, রফিক, লিংকন, হেমায়েতসহ আরও ৮/৯ জন শাকিলের বাসার আশে পাশে গিয়ে শাকিলকে হত্যাসহ গুম করার হুমকি দিচ্ছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: