মিঠামইন (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলার ইটনায় অবৈধ ভাবে প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটার কর্ম যঞ্জ চালাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল।
ফলে ফসলি কৃষি জমি পরিণত হচ্ছে পুকুর ও ডুবা এ সকল মাটি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে হাওরে বাড়ি ঘর। ফলে দিন দিন ফসলের উৎপাদন কমছে, বেকার হচ্ছে কৃষক পরিবেশ হচ্ছে দুষিত।এমন কি গ্রামীন সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। অন্য দিকে স্হানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান সমালোচনা। উপজেল কৃষি কর্মকর্তা বলেছেনন,প্রতি বছরই এক ভাগ ফসলি জমি কমছে।
শনিবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইটনা- আমিরগঞ্জ সড়কে পাশাপাশি মৃগা গ্রাম সংলগ্ন এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে আইন অমান্য করে এমনি ভাবে মাটি কাটার কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। রাস্তার পাশে বিশাল বড় জায়গায় নিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটা হচ্ছে । এই গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান,এক শ্রেণীর মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষি জমির মাটি কেটে ব্যাবসা করছে এসকল মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাড়ি এতে করে এক দিকে জমির শ্রেণী পরিবর্তন, অন্য দিকে সরকারি রাজস্ব আয় কমার আসংখ্যা করছে স্হানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা জানান, ফসলি জমি তে মাটি কাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে স্হানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার সাহা বলেন, এভাবো মাটি কাটার কারণে প্রতি বছরই আবাদি কৃষি জমি কমছে। অভিযোগ পেলে স্হানীয় প্রসানের সহযোগিতায় ব্যাবস্হা নেওয়া হবে। ইটনার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: নাহিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: