• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ১৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • সরকারি নিবন্ধন নং ৬৮

Advertise your products here

banner image
website logo

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্বোধন


ঢাকানিউজ২৪.কম ; প্রকাশিত: বুধবার, ২২ ফেরুয়ারী, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১:৪৬ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা

মনিরুজ্জামান মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবারের মত কালজয়ী ঔপন্যাসিক তিতাস একটি নদীর নামের রচয়িতা অদ্বৈত মল্লবর্মণের জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে ৩ দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে মাতৃভাসা দিবস উপলক্ষে তিতাস নদীর তীর ঘেঁষা গোকর্ণঘাটে অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণ কেন্দ্র আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। 

আয়োজকরা জানান, বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত অমর কথা শিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ। খেটে খাওয়া মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে তিনি অনেক উপন্যাস রচনা করেছেন। নদী ভিত্তিক যত উপন্যাস রয়েছে তার মধ্যে তিতাস একটি নদীর নাম তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। এই উপন্যাস থেকেই বিখ্যাত পরিচালক ঋত্তিক ঘটক “তিতাস একটি নদীর নাম” চলচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। তার এই উপন্যাসটি বিশ্বের ১৩ টি দেশে অনুবাদিত হয়েছে। 

তবে উপমহাদেশব্যাপী তার ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও নিজ জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য কোন উদ্যোগ নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন প্রজন্মের কাছে তাকে তুলে ধরতে এবারই প্রথম অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি পাঠাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে তার নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটের তিতাস নদীর তীরে তার জন্মভিটার পাশে ৩ দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মেলায় ৩০ টি স্টল রয়েছে। এতে অদ্বৈত মল্লবর্মণের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম ছাড়াও বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের রচিত গল্প ও উপন্যাস স্থান পেয়েছে।
পাঠকরা জানান, উপমহাদেশব্যাপী তার সুখ্যাতি থাকলেও নিজ এলাকার মানুষ তার সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে তেমন অবগত নয়। আমরা তাকে নিয়ে তেমনভাবে স্মরণ করতে পারিনি। তা জন্মভিটাতে এ ধরণের আয়োজন প্রশংসনীয়। আমরা মনে করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ও তরুন প্রজন্ম অদ্বৈত মল্লবর্মণকে আরো ভালভাবে জানতে পারবে এবং তার সৃষ্টিকর্মগুলো নিয়ে আরো গবেষণা হবে। তারা অমর এই কথাশিল্পীর স্মৃতি সংরক্ষণে তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আরো গবেষণাসহ প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন করার দাবী জানান। 

মেলার উদ্যোক্তা বিশিষ্ট কবি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আবহমান বাংলা নিয়ে অদ্বৈত মল্লবর্মণের চেতনাকে ধারণ করতে এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই আমাদের এই আয়োজন। মেলাটি প্রথম বারের মত হলেও আমরা আশা করি এই স্থান সকল কবি সাহিত্যিকদের মিলন মেলায় পরিণত হবে। 

মেলার উদ্বোধক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাংলা সাহিত্যে অদ্বৈত মল্লবর্মণের অবদান অতুলণীয়। প্রথিতযশা এই জ্ঞানী ব্যক্তি নামে যে গ্রন্থমেলা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী। 

এই মেলার মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্ম বই পড়া এবং লেখালেখির দিকে অনেক অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ পাবে বলে আমি মনে করি। 

কালজয়ী এ লেখক ১৯১৪ সালের পহেলা জানুয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটে মালো পরিবারে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৯৫১ সালের ১৬ই এপ্রিল কলকাতার নারকেল ডাঙায় মৃত্যুবরণ করেন। 

ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন

আরো পড়ুন

banner image
banner image