বরিশাল প্রতিনিধি : বাকেরগঞ্জের ৭ নং কবাই ইউনিয়নের লক্ষীপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনটি সম্পুর্ন রুপে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বিকল্প ব্যবস্হায় ছোট পরিষরে টিনের একটা ঘর তুলে পাঠদান চালানো হচ্ছে। যার কক্ষ গুলো ছাত্র - ছাত্রীর সংখ্যা তুলনায় ছোট। ফলে শিক্ষক - শিক্ষার্থীর পাঠদানে হচ্ছে ব্যঘাত। ২০১৭ সালের দিকে বিদ্যালয়ের ভবনটি নদীর পানিতে বিলীন হওয়ার পর থেকেই টিনের একটি ঘর তুলে চালানো হচ্ছে পাঠদান।
১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সাল সরকারি ভাবে এমপিও ভুক্তি করা হয়। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের ভবন ও মাঠ প্রমত্তা কারখানা নদীর গর্ভে একেবারে সম্পুর্ন বিলীন হয়ে যায়।
ছোট পরিষরে টিনের ঝুপড়ি ঘরে শিক্ষার্থীদের মনোপযোগী পারিপার্শ্বিক পরিবেশ না হওয়ায় দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ২০০ ছাত্র - ছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী চারী নিয়া বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলছে।
খুব নিচুতে টিনের চালা দিয়া পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্হা বিহীন ঘরে তীব্র শীতে ঠান্ডায় শিক্ষার্থীদের অবস্থা ছিল খুবই কষ্টের। ঠিক তেমনই গরম কালেও টিনের ঘরে থাকে গরমের তীব্রতা। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে এই বিদ্যালয়টি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে স্হানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থী।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কাওছার হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নদীর ভাংগনের কবলে পড়ে বিদ্যালয় ভবনটি। প্রচন্ড ভাংগনের শিকার হয় নদী তীরবর্তী ভুমি। একারণে কয়েকবার স্থানান্তর করা হয় বিদ্যালয়টি। যার কারণে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
বিদ্যালয়ের নতুন ভবন প্রদান প্রসংঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমারের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ভবন না থাকায় প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়টির ছাত্র - ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হয়েছে।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: