
নিউজ ডেস্ক: পর্তুগালের সেক্রেটারি অব স্টেট ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে জানান, আগামী বছর ঢাকায় কনস্যুলার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল।শনিবার (১৩ মে) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে দ্বিতীয় ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে বলেন, ‘পর্তুগাল সরকার আগামী বছরের মধ্যে ঢাকায় একটি কনস্যুলার মিশন খোলার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। এতে বাংলাদেশিদের পর্তুগাল ভ্রমণ সহজ হবে।’ হাছান মাহমুদ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
পর্তুগালে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশিদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মকাণ্ড এবং পরিশ্রমী মনোভাবের প্রশংসা করে ফ্রান্সিসকো আন্দ্রে বলেন, ‘পর্তুগিজ সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে তারা (বাংলাদেশি উদ্যোক্তা) অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে।’
ফোরামে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিব, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।
লর্ড আহমদের সঙ্গে বৈঠকে হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় লর্ড আহমদ আশ্বাস দেন যে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে এবং দেশটি রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সক্রিয় থাকবে।
বৈঠকে জলবায়ুু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী এ সময় রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলার ঐতিহাসিক অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহাবিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়। বেলজিয়ামের মন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিক সহায়তার মনোভাব জানান।
ঢাকানিউজ২৪.কম /
আপনার মতামত লিখুন: