
নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম পাতালরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি। এমআরটি লাইন-১ চালু হলে প্রতিটি ট্রেন ১০০ সেকেন্ড পর পর চলাচল করবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে ডিএমটিসিএলের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-৬ এ আমরা যে কন্ট্রোল সেন্টার থেকে পরিচালনা করছি, সেটা এখন সাড়ে ৩ মিনিট পর পর চলতে পারে। এটাকে আমরা কমিয়ে আনতে পারব। এমআরটি লাইন-১ এ ১০০ সেকেন্ড দিয়ে শুরু করব। এটাকে হেডওয়ে বলে। ১০০ সেকেন্ডের মধ্যে একটার পর আরেকটা ট্রেনে আসবে, এটি আর কমানোর সুযোগ নেই। আমরা ৬টি কোচ দিয়ে এমআরটি লাইন-৬ শুরু করেছি এবং আরো দুটি কোচ সংযোজনের সুযোগ রেখেছি।
এমএএন সিদ্দিক বলেন, এমআরটি লাইন-৬ এর স্টেশনগুলো রাস্তার উপরে হয়েছে। আর এমআরটি লাইন-১ এর স্টেশনগুলো রাস্তার নিচে হবে। এটা মাটির উপরে তিনতলা হয়েছে, ওটা মাটির নিচে তিনতলা হবে। জনসাধারণের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।
তিনি আরো বলেন, পাতাল স্টেশনগুলো আমরা ওপেন কাট পদ্ধতিতে করব। রাস্তার অর্ধেক অংশ প্রথমে খনন করা হবে। ঐ অংশে আমাদের সমস্ত যন্ত্রপাতি নিচে নামানো হবে এবং তার উপর দিয়ে স্টিলের পাত দেওয়া হবে যান চলাচলের জন্য। ঐ পাতের ওপর দিয়ে ৪০ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এ অংশ গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর আমরা রাস্তার অপর অংশে একইভাবে কাজ শুরু করব। এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগবে। পরে মাটির নিচে যে কাজ চলতে থাকবে, সেটি ওপর থেকে আর অনুমান করা যাবে না। আবার টিভিএম মেশিন দিয়ে যখন টানেল কাটা হবে, তখন এটিও উপর থেকে কোনভাবে বোঝা যাবে না।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পাতালরেল নির্মাণ কাজের জন্য এরই মধ্যে ৯২ দশমিক ৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: