নিউজ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু রাষ্ট্রটি দেননি, বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, সেই পথরেখাও তিনি দেখিয়েছেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সোমবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়েছে, দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, তাই ইফতার পার্টি না করে তা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত। যে উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ, বললেন শেখ হাসিনা
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়ে বসেনি ভারত। যে উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই উদ্দেশ্য ও হারানো গৌবর ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে কারণ গণহত্যা স্মরণ করে পাকিস্তানিদের প্রতি ঘৃণা জানানোর জন্য।
স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২৪ সালে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে তিনজন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্ষেত্রে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন পুরস্কার পান। এছাড়া সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদকে ভূষিত করা হয়।
তারা হলেন- ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর)। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ। ‘সমাজসেবা/জনসেবা’ ক্ষেত্রে অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি সম্মাননাপত্র ও একটি রেপ্লিকা দেয়া হয়।
ঢাকানিউজ২৪.কম / কেএন
আপনার মতামত লিখুন: